কলাপাড়ায় ১৩ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে বাবুল সিকদার (৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে ওই কিশোরীর পিতা বাদী হয়ে মহিপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত বাবুল লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাঁসিপাড়া গ্রামের মৃত রহিম শিকদারের ছেলে।
কিশোরীর পারিবারের সদস্যরা জানান, গত (২০) জুন লতাচাপলী ইউনিয়নের ফাসিপাড়া গ্রামে রবিবার সকালে কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে প্রতিবেশী বাবুল তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন চেষ্টা চালায়। এসময় কিশোরী ও তার ছোট ভাইয়ের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বাবুল দৌড়ে পালিয়ে যায়। কিশোরীর পারিবারিক সূত্র আরও জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আবুল হোসেনকে ঘটনাটি অবহিত করলে শালিশ মিমাংসার কথা বলে কালক্ষেপন করে।
অভিযুক্ত বাবুল সিকদার মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানায়,ঘটনার সময় কিশোরীর বাড়িতে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করে। তবে কিশোরীকে ধর্ষনের কথা অস্বীকার করে বলেন, লতাচাপলী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো: আবুল হোসেনকে গত সোমবার এক শালীশ বেঠকে বিষয়টি আপোষ মিমাংশায় কিশোরীকে ৩০ হাজার টাকা ও মহিপুর থানা পুলিশেরকে দেয়ার জন্য ১০ হাজার টাকা নেয়। টাকা ৪০ হাজার আমার ভগ্নিপতি ও আমার বড় ভাই মেম্বারের হাতে দিয়েছে।
ইউপি সদস্য মো. আবুল হোসেন কাজী সাংবাদিকদের জানান, ঘটনা সে শুনেছে। তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সত্যতা অস্বীকার করে বলেন,তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত করছে।
লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার উদ্দিন মোল্লা সাংবাদিকদের জানান, ধর্ষন ঘটিত কোন ঘটনা ইউনিয়ন পরিষদের এখতিয়ার বর্হিভ‚ত। ইউনিয়ন পরিষদ এ ধরনের বিচার-শালীশ করতে পারে না। এটি থানা আদালতের ব্যাপার। যদি সে আলামত নষ্ট করার জন্য কালক্ষেন করে থাকে তবে সে অবশ্যই অপরাধ করেছ্।ে এ ব্যাপারে আমি তার যথাযথ বিচার দাবি করছি।
মহিপুর থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান,এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১২/২০২১। বাবুলকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন