মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে লকডাউনের ৩য় দিনেও সকাল থেকে ফেরিগুলোতে ঢাকামুখী ও ঢাকা-ফেরত যাত্রীদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটমুখী যানবাহনের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি দেখা গেছে। বিকেলের দিকে যাত্রীদের চাপ স্বাভাবিক হতে শুরু করে। তবে পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ স্বাভাবিক লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৪) জুন সকাল থেকে এ নৌপথে ১৩টি ফেরি চলাচল করেছে। তবে শিমুলিয়াঘাটে আসার পর গণপরিবহণ বন্ধ থাকার কারণে যাত্রীদের রাস্তায় ভোগান্তিতে পরতে হচ্ছে। কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে ভেঙে ভেঙে মোটরসাইকেল, ৩ চাক্কার ইজিবাইক থ্রি-হুইলার, ট্রাক, পিকআপসহ বিভিন্ন যানবাহনে চরম ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছচ্ছেন বলে যাত্রীরা জানান।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশ ইন্সপেক্টর মো. হাফিজুল ইসলাম জানান, সকাল থেকে ৩ শতাধিক ছোট বড় পণ্যবাহী যানবাহন ও এম্বুলেন্স শিমুলিয়া ঘাটে ফেরির মাধ্যমে পারাপার হয়েছে। তবে সকাল থেকে সারাদিন উভয়মুখী যানবাহন থেকে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। বাংলাবাজার ঘাট থেকে যানবাহনের চেয়ে যাত্রীর চাপ বেশি এসেছে শিমুলিয়াঘাটে।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাট কর্তৃপক্ষ জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে ১৩টি ফেরি চলাচল করেছে। গতকালের তুলনায় আজ যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ফেরিতে শুধু ঢাকাগামী যাত্রী পার করা হয়েছে। তবে দুপুরের পর থেকে দুই ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শত শত মানুষ, যে যেভাবে পারছেন গন্তব্যে রওনা হচ্ছেন। যাত্রীরা কেউ ঢাকা,নারায়ণগঞ্জ, কেউ কুমিল্লা-চট্টগ্রাম বা আশপাশের কোনো জেলায় যাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে দূরপাল্লার যান চলাচল করবে না জেনেই তারা রওনা হয়েছেন। ঢাকামুখী যাত্রীরা বাসে যেতে না পারলেও মাইক্রোবাস, সিএনজি,অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়া দিয়ে, কয়েকবার বাহন বদলে নিজ গন্তব্যে যাচ্ছেন। লকডাউনের কারণে যান চলাচল না করায় নারী, শিশু ও বয়স্কদের ভোগান্তি হচ্ছে বেশি।
শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্টে কর্তব্যরত এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সরকারি নির্দেশনা অনুসারে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ছাড়া অন্য গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ ও বের হতে দেয়া হচ্ছে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন