মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরি ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ভিড় লেগেই আছে। ১লা জুলাই কঠোর লকডাউনকে কেন্দ্র করে বিধি উপেক্ষা করে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিড়ম্বনা মাথায় নিয়েই পুলিশের চেকপোস্ট উপেক্ষা করে, সিএনজিচালিত আটোরিক্সা, পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত গাড়িযোগে ভেঙ্গে ভেঙ্গে এবং পায়ে হেটে ঘাটে আসতে দেখা গেছে।
আজ বুধবার (৩০ জুন) সকালে থেকে শিমুলিয়া ঘট হতে প্রত্যেকটি ফেরিতে গাদাগাদি করে স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে যাত্রীদের পদ্মা নদী পার হতে দেখা গেছে। অনেকের মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। তবে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ছেড়ে আসা ফেরিতে ঢাকামুখী যাত্রীদের তেমন চাপ দেখা যায়নি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাট সূত্র জানায়, ভোর থেকে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ অব্যাহত আছে । গত মঙ্গলবার (২৯ জুন) নৌরুটে যাত্রীদের চাপ কম ছিল। আজ থেকে ফের চাপ বেড়েছে। নৌরুটে চারটি রোরো, ফেরি সহ ১৪টি ফেরি চলাচল করছে। ফলে নৌরুটে যানবাহনের কোনো জটলা নেই। ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ির চেয়ে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মানুষ বেশি পারাপার হয়েছে। একই সঙ্গে পারাপার হচ্ছে, জরুরি সেবা অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য গাড়ি।
মো. সোলাইমান নামের এক যাত্রী বলেন, ঢাকায় দোকান বন্ধ থাকায় মালিক ছুটি দিয়েছে। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি পরে লকডাউন ছাড়লে আবার ঢাকায় যাবো।
বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ মো. জাকির হোসেন দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, শিমুলিয়া ঘাটের প্রবেশ মুখে শিমুলিয়া মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ঘাটে যানবাহন তেমন চাপ নেই তবে যাত্রীদের চাপ আছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত অর্ধশতাধিক পণ্যবাহী গাড়ী ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন