লকডাউনের তৃতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের। সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন সড়ক জনমানব শূন্য ও বিপনিবিতানগুলো বন্ধ দেখা গেছে।এদিকে শিমুলিয়া ঘাটে গাড়ির জন্য প্রতিটা ফেরিকে অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। কোভিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলছে কঠোর লকডাউন।
শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রবেশপথ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ছিলো যানবাহন ও জনশূন্য। উপজেলার প্রধান সড়কে সেনাবাহিনী, বিজিবি, ম্যাজিস্ট্রেট, থানা পুলিশ, নৌ-পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের কঠোর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে । প্রতিটি মোড়ে পুলিশের চেকপোস্টের মাধ্যমে সারাক্ষণ নজরদারী করা হচ্ছে। ফলে ঘাটে কোন ব্যক্তিগত গাড়ি প্রবেশ করতে পারছে না। শুধুমাত্র সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে। শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ১৪টি ফেরি দিয়ে এ সকল জরুরি সেবা দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
গত ২২ জুন থেকে শিমুলিয়া ঘাটের লঞ্চ চলাচলসহ বাস (পরিবহন) বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে গত পহেলা জুলাই কঠোর লকডাউনের কারণে টানা তৃতীয়দিনের মতে ঘাট ছিলো ফাঁকা। মাঝে মাঝে দুই একটা অ্যাম্বুলেন্স, ট্রাকসহ জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক আসছে ঘাটে।
সরজমিনে দেখা দেখা গেছে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে ব্যতিক্রম ছিলো ঘাট এলাকা। গাড়ির জন্য ফেরিকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে । যে ফেরি ঘাটে আসা মাত্র লোড হয়ে যেতো সে ফেরিকে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে গাড়ির জন্য।
বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়াত হোসেন আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের জন্য ১৪ ফেরি চলাচল করছে। তবে ঘাট ফাঁকা ফেরি চলাচল স্বাভাবিক কিন্তু ভিন্ন চিত্র রয়েছে ঘাটে। গাড়ির জন্য ফেরি অপেক্ষা করছে। এ রকম চিত্র এ ঘাটে খুব কম দেখা গেছে।
লৌহজং থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আলমগীর হোসাইন জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হলে আবার ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সে সাথে তিনি আর জানান ঘাটে শুধু মাত্র অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক, লাশের সাথের গাড়ি ছাড়া হচ্ছে। তা ছাড়া কাউকে ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আজ সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকা পুরো ফাঁকা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন