শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

‘রবীন্দ্রনাথ’ হিসেবে বিশ্বকবির বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৯ জুন, ২০২১, ৯:২৪ পিএম

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। - ফাইল ছবি


বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রবীন্দ্রনাথ হিসেবে বেড়ে ওঠার পেছনে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।তিনি বলেন, রবীন্দ্ররচনার প্রায় সমস্ত প্রাঙ্গণ জুড়ে কোনো না কোনোভাবে বাংলাদেশের মাটি, মানুষ, প্রকৃতি স্থান করে নিয়েছে। তিনি তার বিভিন্ন রচনায় বাংলাদেশ শব্দটি ৩৯৭ বার উল্লেখ করেছেন। তার সাহিত্য জীবনের এক সোনালি সময় কেটেছে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও কুষ্টিয়ার শিলাইদহে। মঙ্গলবার জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত ‘নানা রবীন্দ্রনাথের মালা : রবীন্দ্র গ্রন্থ-পরিক্রমা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। -বাসস

প্রধান অতিথি বলেন, তিনি ভালোবেসেছিলেন বাংলার নিসর্গকে। বাংলা সাহিত্যের এমন কোনো শাখা নেই, যেখানে রবীন্দ্রনাথের পদচারণা নেই। তিনি বাংলা সাহিত্যে এনে দিয়েছেন পরিপূর্ণতা ও আধুনিকতা। নোবেল পুরস্কার এনে দিয়ে বাংলা ভাষাকে, বাংলা সাহিত্যকে, বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের আসনে বসিয়েছেন। ৮০ বছরের (১৮৬১-১৯৪১) জীবনে সাহিত্য চর্চা করেছেন দীর্ঘ ৬৬ বছর। কে এম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের মানুষের কাছে চিরকালই প্রাসঙ্গিক। তাই তাকে আমাদের প্রতিনিয়ত স্মরণ করতে হয়, তার কাছ থেকে উদ্দীপনা নিতে হয়। যতদিন বাংলা ভাষা থাকবে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততোদিন রবীন্দ্রনাথ থাকবেন আমাদের হৃদয়ের মাঝে, সকল কর্মে ও সাধনায়।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট লেখক, সাংবাদিক ও প্রাবন্ধিক আবুল মোমেন। আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ঘোষ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক খালেদ হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সাবিহা পারভীন। সেমিনারে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। রবীন্দ্রনাথের কবিতা থেকে আবৃত্তি করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ও জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক অসীম কুমার দে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন