চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে মুরাদপুর এলাকায় স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন। দুইদিনের ব্যবধানে দুই শিশু কন্যাকে রেখে স্বামী ও স্ত্রীর দুজনই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন। জানা যায়, উপজেলার পৌরসভাস্থ মৌলভীপাড়া এলাকার মো. আবুল বশরের মেয়ে পিয়ারু বেগমের সাথে গত ৮ বছর আগে চট্টগ্রাম স›দ্বীপ উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোস্তফার ছেলে ওমর শরীফ সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসারে দুই কন্যা সন্তান আসে। তাদের বয়স ছয় ও চার বছর। তবে বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী পিয়ারু বেগম ও স্বামী ওমর শরীফের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে মতানৈক্য হয়ে আসছিল। স্ত্রী পিয়ারু বেগম মুরাদপুর ইউনিয়নের উকিলপাড়া গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। তারা দুজনই আলাদা বাসায় বসবাস করে আসছিলেন। এরই মধ্যে পিয়ারু বেগম তার স্বামী ওমর শরীফের সাথে সংসার করবে না জানিয়ে ১৩ জুন পিয়ারুর স্বামীকে ডিভোর্জ লেটার পাঠান। কিন্তু স্বামী কোনো ভাবেই এ সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছে না। এরপর গত রোববার সকাল বেলা ওমর শরীফ তার স্ত্রীকে বুঝিয়ে পুনরায় সংসার করতে বলেন। কিন্তু স্ত্রী সংসার করবেনা বলে তাকে জানিয়ে দেন।। এ অবস্থায় ওমর শরীফ ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীর পেটে ধারালো ছোরা দিয়ে আঘাত করলে স্ত্রী পিয়ারু বেগমের পেটের নাড়ি-ভুরি বের হয়ে যায়। ঘটনার পর পিয়ারু বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সোমবার সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পিয়ারু বেগম মারা যান।
অন্যদিকে, ঘটনার দিন রাতে স্বামী ওমর শরীফও অন্যত্র পালিয়ে গিয়ে নিজের পেটে নিজে ছুরিকাঘাত এবং শেষে বিষপান করেন। পরে তাকেও হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্বামী ওমও শরীফও মারা যান। সীতাকুন্ডে মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, পিয়ারু বেগম ও তার স্বামী ওমর শরীফ তারা দুজনই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন