টোকিও অলিম্পিক শুরু হতে আর মাত্র তিন সপ্তাহ বাকি। এমনিতেই করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আনতে জাপান হিমশিম খাচ্ছে, তার ওপর বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া আসর আয়োজনের দায়িত্ব। করোনার কারণে দর্শকসংখ্যা সীমিত রাখার পাশাপাশি ক্রীড়াবিদ ও অন্যান্যদের কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মানতে বাধ্য করার ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে আয়োজকদের। ব্যাপারটি অংশগ্রহণকারী সব দেশকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ক্রীড়া দলগুলোর আকার সীমিত রাখার কথাও বলা হয়েছে।
এসব কারণে প্রায় সব দেশ অংশগ্রহণের ব্যাপারে জাপানকে নিশ্চিত করলেও ব্যতিক্রম ছিল উত্তর কোরিয়া। করোনা মহামারির কারণে দেশটি এবারের অলিম্পিকে অংশ নেবে না বলে আগেই ঘোষণা দিয়েছিল। তাদের সঙ্গে এবার যোগ দিচ্ছে প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্র সামোয়া। জাপানের কিওদো বার্তা সংস্থা নিউজিল্যান্ড বেতারের বরাতে এ কথা জানিয়েছে। সামোয়াও করোনা মহামারিকে অজুহাত হিসেবে দেখাচ্ছে। সামোয়ার একজন মন্ত্রী জানিয়েছেন, জাপানে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়াতেই তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
অলিম্পিক ভিলেজে থাকার বিষয়েও বিশেষ নিয়ম করেছেন আয়োজকেরা। ২৩ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় অলিম্পিকে অংশগ্রহণকারী ক্রীড়াবিদ ও কর্মকর্তারা ভিলেজে উঠতে পারবেন কেবল ৫ দিন আগে। ইভেন্ট শেষ হয়ে যাওয়ার দুই দিনের মধ্যেই তাঁদের গেমস ভিলেজ ছেড়ে দিতে হবে। ভিলেজের বাইরে অবস্থান করলে কেউই অলিম্পিকের উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারবেন না।
স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও পরিবহনসংক্রান্ত জটিলতা এড়াতে এমনটা করা হচ্ছে। ফলে উদ্বোধনী ও সমাপনী অনুষ্ঠানে খুবই সীমিত সংখ্যায় ক্রীড়াবিদ থাকবেন। ৫৮০ সদস্যবিশিষ্ট জাপানের অলিম্পিক দলের অনেকেই শুরু এবং শেষের দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পাবেন না। তবে দলের কেবল দুজন সদস্যকে এই সিদ্ধান্তের বাইরে রাখা হবে। এঁরা হলেন দলের ক্যাপ্টেন ও পতাকা-বাহক। সবমিলিয়ে অন্য রকম এক অলিম্পিকই এবার হতে যাচ্ছে টোকিওতে!
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন