নীলফামারীতে উজানে পাহাড়ি ঢল আর ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে ।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৬০ মিটার) ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে সন্ধ্যায় নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।
এদিকে রাতে নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও সকালের দিকে পানি কমে যাবে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ সূত্র জানায়, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নীলফামারীতে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
সকাল ৬টায় ২৩ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টা এবং বেলা ১২টায় ২০ সেন্টিমিটার, বিকেল ৩টায় ১৮ সেন্টিমিটার এবং সন্ধ্যা ৬টায় বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এর পর রাত ৯ টায় ২৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের ওয়েব সাইডে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় তিস্তা নদীর উজান ভারতের দোমহনী পয়েন্টে বিপদসীমার (৮৫ দশমিক ৯৫ মিটার) ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারীর ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল-মামুন জানান, ‘তিস্তা নদীর উজানে ভারতের দোমহনীতে পয়েন্টে তিস্তা পয়েন্টে পানি বৃদ্ধির ফলে ভাটিতে অবস্থিত তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা থেকে তিস্তা নদীর নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ২০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে রাখা হয়েছে। খুব দ্রুত এই পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হবে।
এদিকে বিপদসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী কিছু চরগ্রাম সামান্য প্লাবিত হয়েছে নদীর পানিতে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন