কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাই-বোন মিলে তৌকির (২৫) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (১০ জুলাই) রাতে কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের মালিথাপাড়া আবাসন প্রকল্পে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত তৌকির কয়া ইউনিয়নের মালিথা পাড়া আবাসন প্রকল্পের বাবলু মালিথার ছেলে। তিনি পেশায় একজন মোবাইল মেকার ছিলেন।
আটকরা হলেন-উত্তর কয়া আবাসনের আজবাহারের ছেলে বিপ্লব ওরফে বিল্লু (২০) ও মেয়ে যুথি (১৮)।
নিহতের চাচাত ভাই শরিফুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন আগে বিল্লু তৌকিরের কাছে একটি মোবাইল ফোন মেরামত করতে দেন। তৌকির মোবাইল ফোনটি মেরামত করে তাকে ফেরত দিলেও বিল্লু ফেরতের বিষয়টি অস্বীকার করেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে কয়েকদিন ধরে বাগবিতণ্ডা চলছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার মাগরিবের নামাজের পর বিল্লু ও তার বোন যুথি খাতুন তৌকিরের বাড়িতে এসে মোবাইল ফেরত চান। এনিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বিল্লু ও তার বোন তৌকিরকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন।
পরে স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় তৌকিরকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, বিল্লু মাদকাসক্ত। তার বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মোবাইল ফেরত দেয়াকে কেন্দ্র করে বিবাদের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের আটক করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন