মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে গতকাল সকাল থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় দেখা গেছে। করোনা সংক্রমণ রোধে বিআইডবিøউটিসি থেকে বন্ধের নির্দেশনার পরেও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে যাত্রীবাহী গাড়ি ও যাত্রী পারাপার অব্যাহত আছে।
গতকাল সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সেই সাথে শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে বাংলাবাজারের উদ্দেশে পদ্মা পার হতে দেখা গেছে শত শত যাত্রী ও যাত্রীবাহী গাড়ি।
ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা পুলিশের চেকপোস্ট এড়িয়ে বিকল্প পথে গ্রামের ভেতর দিয়ে হেঁটে, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক ও মিশুকে করে ঘাটে আসছে। তারা স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিন-চারগুণ বাড়তি ভাড়া গুনে ঘাটে পৌঁছান। আগে বাসে যেখানে ৭০ টাকায় ঘাটে আসা যেতো, সেখানে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা ভাড়া দিতে হচ্ছে যাত্রীদের।
মাদারীপুরগামী যাত্রী জাফর আহম্মেদ জানান, কোরবানি দিবো তাই পরিবার নিয়ে গ্রামে যাচ্ছি। বরিশালগামী যাত্রী মনিরুজ্জামান মৃধা জানান মা অসুস্থ তাই বাড়ি যাচ্ছি। মাদারীপুরের শিবচরের উসমান খান জানান, ঢাকায় গিয়েছি অসুস্থ বোনকে দেখতে। গিয়েছি অনেক কষ্ট করে আজও ঘাটে আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে।
খুলনাগামী শাহআলম জানান, দেশে কোরবানি দিবো। গরু কিনতে হবে তাই ঈদের কয়দিন আগেই যাচ্ছি। মাদারীপুরগামী যাত্রী গৃহবধূ সাহানাজ বেগম বলেন, কী যে কষ্ট করে এখানে এসেছি, ভাষায় বোঝানো যাবে না। তিনি আরও জানান, আমার স্বামী বিদেশে থাকেন। প্রতি বছর গ্রামের বাড়িতে শ্বশুর শাশুড়ির সাথে ঈদ করি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশনের বিআইডবিøউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) সাফায়েত আহমেদ জানান, এ নৌরুটে রোঁ রোঁ ও ছোটসহ মোট ১১টি ফেরি চলাচল করছে। বিআইডবিøউটিসি থেকে বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের নির্দেশনা চলমান থাকার পরেও কেন যাত্রীবাহী গাড়ি পারাপার হচ্ছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ঢাকা থেকে আসতে ৬-৭টি চেকপোস্ট হয়ে জরুরি প্রয়োজন দেখিয়ে যারা ঘাটে আসছেন, তাদের পার করা হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন