মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে গত বছর দাম ভালো পাওয়ায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে পাটের আবাদ করা হয়েছে। এবার বন্যায় দেশের একাধিক এলাকা প্লাবিত হলেও পানির অভাবে পড়েছেন লৌহজংবাসী। জেলার অন্যান্য উপজেলার মতো বন্যার অভাব প্রকটভাবে দেখা দিয়েছে এ উপজেলায়। এ কারণে বেশ বিপাকে পড়েছেন এখানকার দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল পাট চাষিরা। প্রতিবছর এই সময় বর্ষার পানিতে খাল-বিল, নদী-নালা ও নিচু জমি পানিতে ভরে ওঠে। তবে এ বছর সেই দৃশ্য নেই। পদ্মা নদীতে পানির সামান্য প্রবাহ থাকলেও খাল-বিল একেবারেই পানিহীন ‘মরুভূমি’। যে কারণে চলতি মৌসুমে সোনালী আঁশ পাট পঁচানো নিয়ে চিন্তার ছাপ কৃষকদের চোখে-মুখে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৪৮৫ হেক্টর জমিতে কৃষকরা পাট চাষ করেছেন। গত বছরের চেয়ে বেশি পাট চাষ হয়েছে। দাম ও ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকদের পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। কৃষকরা জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলন ভালো হলেও জাগ দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরেছেন তারা। আষাঢ় মাস শেষে শ্রাবণ মাসের অর্ধেক পেরোলেও বৃষ্টির দেখা নেই। পাট কাটলেও জাগ দেয়ার পর্যাপ্ত পানি না থাকায় মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে। সঠিক সময়ে পাট জাগ দিতে না পারলে লোকসানে পড়বেন বলে জানান এ উপজেলার কৃষকরা। তবে উপজেলার নিম্নাঞ্চল এলাকার এলাকার কৃষকরা পাটের আঁশ ছাড়ানোর কাজ শুরু করেছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, লৌহজং উপজেলায় এ বছর ৪৮৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় বেশি। দাম বেশি থাকার কারণে কৃষক পাট চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে যে পাট জনপ্রিয় তা হলো দেশি জাত রবি-১ সিবিএল বা তোষা পাট ৯৮৯৭। এটা খুব ভালো জাতের পাট। আমাদের উপজলো কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের মধ্যে এই জাতের পাট অনেক বিতরণ করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন