কোরবানি ইবরাহিমী সুন্নত। আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য পশু কোরবানি করার বিধান তারই, তারই এবাদত-বন্দেগীর স্বরূপ। খোদায়ী নির্দেশ মান্য করার অর্থাৎ পুত্র কোরবানি করার নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করার উদ্যোগ আল্লাহর পছন্দ হওয়ায় তিনি পুত্রের স্থলে একটি দুম্বা (পশু) তাঁর অস্ত্রের নিচে রেখে দেন এবং বলেন, ‘ওয়া ফাদায়নাহু বিযিবহিন আযীম’ অর্থাৎ আমি জবাই করার জন্য এক মহান জীব, এর বিনিময়ে দিলাম। (সাফ্ফাত)
এ মহান জীব বলতে কেউ কেউ ভেড়া এবং কেউ কেউ দুম্বা বুঝিয়েছেন। হজরত ইসমাইল (আ.)কে কোরবানি করার ঘটনাটি সূরা ‘সাফফাত’ এ বর্ণিত হয়েছে। আমাদের আলোচ্য বিষয় ইসমাইল (আ.) এর স্থলে পশু কোরবানি হয়ে যাওয়ার ঘটনা। সত্যি সত্যিই যদি হজরত ইসমাইল (আ.) জবাই হয়ে যেতেন, তাহলে দুনিয়ায় পুত্র কোরবানি করার প্রথা চালু হয়ে যেত, এমন বলেছেন কেউ কেউ। এটি মানুষের প্রতি আল্লাহ রাব্বুল আলআমীনের এক অসীম মেহেরবাণী।
এ প্রসঙ্গে রসূলুল্লাহ (সা.) এর একটি প্রসিদ্ধ উক্তি উদ্ধৃত করা যেতে পারে। কোন এক প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘আনা ইবনুয-যাবিহাইনে’ অর্থাৎ আমি দুই জবাইকৃতের সন্তান। এক জবাইকৃত অর্থাৎ জবাই করার জন্য স্থিরকৃত হজরত ইসমাইল (আ.), তিনি ছিলেন রসূলুল্লাহ (সা.) এর ঊর্ধ্বতন পুরুষ, শৈশবে কোরবানি হতে রক্ষা পেয়ে যান। দ্বিতীয় জবাইকৃত (কোরবানির জন্য মনোনীত) রসূলুল্লাহ (সা.) এর পিতা মহাত্মা আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মোত্তালেব। লুপ্ত যমযম ক‚প প্রাপ্তি সম্পর্কে আবদুল মোত্তালেবের ঘটনাটি ইতিহাস খ্যাত। সংক্ষেপে এতটুকু বলে রাখা দরকার যে, আবদুল মোত্তালেবের পুত্রদের মধ্যে কোরবানির জন্য লটারিতে বার বার আবদুল্লাহর নামই উঠেছিল। অবশেষে একশটি উটের পরিবর্তে আবদুল্লাহর নাম ওঠা বন্ধ হয় এবং তিনি বেঁচে যান। আত্মসমর্পণ ও আনুগত্য প্রকাশের এ ত্যাগী আদর্শের জন্য রসূলুল্লাহ (সা.) গর্ববোধ করেছেন এবং দুই মহান পিতার সেই আত্মত্যাগের কথা তিনি বিস্মৃত হতে পারেননি, উম্মতকে তা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন।
কোরবানির আদি ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, কোন হালাল পশু আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে জবাই করার প্রথা তখন থেকে শুরু হয়েছে, যখন থেকে আদম (আ.) দুনিয়ায় আগমন করেন এবং দুনিয়া আবাদ হয়। সর্ব প্রথম কোরবানি প্রদান করেন হজরত আদম (আ.) এর দুই পুত্র হাবিল ও কাবিল। তাদের বিয়েকে কেন্দ্র করে কোরবানির সূচনা হয়েছিল এবং কাবিল কর্তৃক হাবিল নিহত হয়েছিলেন, যা ছিল দুনিয়াতে প্রথম ভ্রাতৃঘাতি রক্তপাতের ঘটনা। সূরা মায়েদায় এ হত্যা কান্ডের বিবরণ রয়েছে। ঘটনা শুরু করা হয়েছে: ‘ইয কাররাবা কোরবানান।’ অর্থাৎ দুই পুত্র একেকটি কোরবানি পেশ করে।
কোরআনের ভাষ্যকারগণ আয়াতটির বিশদ ব্যাখ্যা করেছেন। এখানে ইবনে কাসির হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) এর বরাতে যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন, তা বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য। বলা হয়েছে, হাবিল একটি মেশ কোরবানি হিসেবে পেশ করেন এবং কাবিল নিজের ক্ষেত খামারের উৎপাদিত শস্য ইত্যাদি হতে কিছু শস্য সদকা হিসেবে কোরবানি করে। আসমান হতে আগুন অবতীর্ণ হয় এবং হাবিলের মেষকে খেয়ে ফেলে এবং আগুন কাবিলের কোরবানিকে স্পর্শও করেনি।
সাবেক আম্বিয়ায়ে কেরামের যুগে কোরবানি কবুল হওয়া না হওয়ার পরিচয় ছিল এই যে, আল্লাহ যার কোরবানি কবুল করতেন, আসমান হতে একটি আগুন আসত এবং তাকে জ্বালিয়ে দিত। সেকালে জেহাদের মাধ্যমে গনিমত হিসেবে যে মাল কাফেরদের কাছ থেকে লাভ করা হত, আগুন এসে তাও খেয়ে ফেলত এবং তা জেহাদ কবুল হওয়ার লক্ষণ ছিল। আল্লাহ তাআলা উম্মতে মোহাম্মদিয়ার জন্য বিশেষ পুরস্কার দান করেছেন যে, কোরবানির গোশত এবং গনিমত (যুদ্ধলব্ধ মাল) তাদের জন্য হালাল করে দিয়েছেন। এ বিশেষ পুরস্কারের কথা রসূলুল্লাহ (সা.) একটি হাদীসে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমার জন্য গনিমতের মাল হালাল করে দেয়া হয়েছে।’
আগুন এসে কোরবানির পশু খেয়ে ফেলত, এটি সূরা আলে ইমরানের ১৮৩-১৮৪ নং আয়াত দ্বারা প্রমাণিত। সূরা মায়েদার দ্বারা প্রমাণিত যে, হজরত আদম (আ.) এর যুগ হতে সর্ব প্রথম পশু কোরবানিকে এবাদত ও আল্লাহর নৈকট্য লাভের মাধ্যম হিসেবে গণ্য করা হয় এবং সূরা আলে ইমরানের বর্ণিত আয়াত হতে জানা যায় যে, কোরবানি কবুল হওয়ার বিশেষ পদ্ধতি ছিল আসমান হতে আগুন এসে তাকে জ্বালিয়ে দিত এবং এ পদ্ধতি পূর্ববর্তী নবীগণের যুগ হতে শুরু হয়ে সর্বশেষ নবী রসূলুল্লাহ (সা.) এর যুগ পর্যন্ত চালু ছিল।
আদমপুত্রদ্বয় হাবিল-কাবিলের ঘটনার পর পশু জবাই বা কোরবানি করার ইতিহাস শুরু হয় সম্ভবত নূহ (আ.) এর যুগ হতে। হজের অংশ হিসেবে কোরবানির পশুকে বলা হয় ‘আল বুদনা, অভিধান বিশারদগণের মতে, শব্দটি গরু, বকরি বা উট সম্পর্কে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। কোরআনে এর ব্যবহার দেখা যায়। বিভিন্ন হাদীসেও শব্দটির ব্যবহার রয়েছে। সর্ব প্রথম যিনি ‘বুদনা’ কোরবানি করেছিলেন বায়তুল্লাহ শরীফে, তার নাম ইলিয়াস ইবনে মোযার। কথিত আছে যে, নূহ (আ.) এর তুফানের সময় খানা-ই কাবা লুপ্ত বা ধ্বংস হয়ে গেলে ইলিয়াস ইবনে মোযার তা অনুসন্ধান করে আবিষ্কার করেন।
আল্লাহর আদি গৃহ খানা-ই কাবা এবং হজ ও কোরবানি এ তিনটি এলাহী নিদর্শন একটার সাথে একটার সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত। ইলিয়াস ইবনে মোযার ছিলেন রসূলুল্লাহ (সা.) এর ঊর্ধ্বতন ১৮তম পুরুষ। তিনিই সর্ব প্রথম লুপ্ত খানা-ই কাবার সন্ধান করে কাবায় হজ করেন এবং ‘বুদনা’ পশু কোরবানি করেন। বলা হয়ে থাকে সে পশু নিদর্শন হিসেবে কাবার একটি কোণে স্থাপন করে রেখেছিলেন। এ কারণে আরবরা ইলিয়াস ইবনে মোযারের প্রতি অত্যন্ত সম্মান করতেন। ইমাম সোহেলী বর্ণনা করেন, রসূলুল্লাহ (সা.) একটি হাদীসে বলেছেন, ‘তোমরা ইলিয়াসকে মন্দ বলো না। কেননা তিনি মোমেন ছিলেন।’ তার সম্পর্কে এ কাহিনী প্রচলিত আছে যে, হজের সময় ইলিয়াস ইবনে মোযারের কবর হতে রসূলুল্লাহ (সা.) এর তালবিয়ার আওয়াজ শোনা গিয়েছে।
কোরবানি প্রত্যেক নবীর যুগে কোন না কোন প্রকারে চালু ছিল। হজরত মূসা (আ.) এর যুগে কোরবানির একটি ঘটনা এতই প্রসিদ্ধি লাভ করে যে, সূরা বাকারায় তার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ঘটনাটি ছিল এই যে, ‘আমিল’ নামক এক ব্যক্তি নিহত হলে তার হত্যাকারী অজানা থেকে যায়। বিষয়টি হজরত মূসা (আ.) এর খেদমতে পেশ করা হলে, তিনি আল্লাহর দরবারে নিহত ব্যক্তির লোকদেরকে একটি গরু জবাই করতে বলেন। হুজ্জতি বনি ইসরাইল মূসা (আ.)কে বার বার জিজ্ঞাসা করতে থাকে গুরুটি কেমন হবে, তার রং কী হবে ইত্যাদি। আল্লাহর পক্ষ হতেও একটার পর একটা শর্ত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। বলা হয়ে থাকে, শর্ত অনুযায়ী গরু পেতে চল্লিশ বছর সময় লেগেছিল। গরু পাওয়ার পর তা জবাই করে নিহত ব্যক্তির কবরে তার লেজ দ্বারা আঘাত করা হয় এবং নিহত ব্যক্তি জীবিত হয়ে হত্যাকারীর নাম বলে দেয়। হত্যাকারী ছিল তারই ভ্রাতুষ্পুত্র, সম্পত্তির লোভে সে আপন চাচাকে হত্যা করে। সে যুগে এটিও ছিল এক প্রকারের কোরবানি।
হজরত সুলায়মান (আ.) এর কোরবানি সম্পর্কে একটি কাহিনী প্রচলিত আছে যে, তিনি যখন হজ উপলক্ষে মক্কা সফর করেন, তখন সেখানে অবস্থান কালে প্রতিদিন মক্কায় পাঁচ হাজার উটনি, পাঁচ হাজার গরু এবং বিশ হাজার বকরি, জবাই করতেন। মক্কা মোকাররমায় পশু কোরবানি করার এ প্রথা নতুন নয়, আদি কাল থেকে চলে আসছে।
কোরবানি এবাদত হিসেবে বিধিবদ্ধ হওয়া হজরত আদম (আ.) এর যুগ হতে প্রমাণিত হলেও তার একটি বিশেষ মর্যাদা হজরত ইবরাহীম খলিলুল্লাহ (আ.) এর একটি ঘটনা হতে শুরু হয় এবং তার স্মৃতি হিসেবে মোহাম্মদী শরীয়তে কোরবানি করা ওয়াজেব হিসেবে গণ্য করা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের এ বিস্ময়কর ঘটনা কোরআনের সূরা সাফফাতে বর্ণিত হয়েছে এবং বিশ্বস্ত বহু হাদীসে কোরবানির বিষয়ের বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে। এটি এমন ব্যাপক আলোচিত বিষয় যে, হজরত ইবরাহীম (আ.) ও তদীয় পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.) হতে এ যাবত প্রত্যেকের মুখে মুখে উচ্চারিত হয়ে আসছে।
নবীর স্বপ্ন দ্বারা যেহেতু শরীয়ত প্রতিষ্ঠিত হওয়া খোদায়ী বিধান। সুতরাং হজরত ইবরাহীম (আ.) এর পর পর একই স্বপ্ন দর্শন এবং তা বাস্তবায়নের সকল উদ্যোগ প্রয়াসের পরিণতি ছিল হজরত ইবরাহীম (আ.) এর পুত্র কোরবানি করার ঘটনা এবং শেষ পর্যন্ত পুত্র স্থলে দুম্বা/ভেড়া এসে কোরবান হয়ে যাওয়া। আর এ ইবরহিমী সুন্নতকে সমগ্র উম্মতের ওপর ওয়াজেব হিসেবে ধার্য করা হয়েছে, এটি কেবল হাজীদের জন্য নির্দিষ্ট নয়, সকল মুসলমানের ওপর (বিধি সম্মতভাবে) ওয়াজেব। দেখা যায়, খোদ রসূলুল্লাহ (সা.) সকল সাহাবা, তাবেঈন এবং এবং সমগ্র উম্মত দুনিয়ার যে কোন প্রন্তেই অবস্থান করুক না কেন, সবাই কোরবানিকে ওয়াজেব কাজ হিসেবে পালন করে থাকে, এমনকি একে ইসলামের অন্যতম প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘কোরবানির উট ও গরুকে তোমাদের জন্য আল্লাহর স্মৃতি নিদর্শন বানিয়ে দিয়েছি।’ (সূরা- হজ)
‘শাআয়েরুল্লাহ’ বা আল্লাহর নিদর্শন স্মৃতি হওয়ার মর্যাদা লাভকারী এ পশুশ্রেণী জবাই করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা তখনই সম্ভব, যদি তা আল্লাহর নামে কোরবানি করা হয়, নতুবা তা কোন কাজে আসবে না, এ ত্যাগ বৃথা যাবে। আল্লাহর নিদর্শন অর্থাৎ আল্লাহর দ্বীনের নিদর্শন।
হজরত ইসমাইল (আ.) এর স্থলে যে দুম্বাটি জবাই হয়েছিল, তা স্মৃতি-নিদর্শন হিসেবে হাজার বছর খানা-ই কাবায় সংরক্ষিত ছিল। হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) এর বরাতে ইবনে কাসীর বর্ণনা করেন, ‘এ দুম্বার শিং ও মাথা ইসলামের প্রাথমিক যুগ পর্যন্ত বায়তুল্লাহ শরীফের ‘মীযাব’ এ ঝুলন্ত ছিল, যা ইসমাইল (আ.) এর বংশধরগণ অর্থাৎ মক্কার কোরেশগণ নিদর্শন হিসেবে বায়তুল্লাহ শরীফে সংরক্ষণ করেছিলেন।’ কোন কোন তফসীর অনুযায়ী, দুম্বাটির মাথা ও শিং হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যোবায়ের (রা.) এর খেলাফতের যুগ পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের ফেতনার সময় বায়তুল্লাহ শরীফে অগ্নি সংযোগ করা হলে সে সময় তা জ¦লে যায়। কোরবানির প্রাচীন প্রথাগুলো পর্যালোচনা করলে প্রমাণিত হয় যে, হজরত আদম (আ.) এর যুগ হতে কোরবানি এবাদত হিসেবে সাব্যস্ত হয়ে আসছে, যা কোরআনের বিভিন্ন আয়াত, বহু হাদীস ও সাহাবায়ে কেরামের আমল হতে প্রমাণিত। কিন্তু ঈদুল আযহায় তা জরুরি ও ওয়াজেব হওয়া হজরত ইবরাহীম (আ.) এর স্মৃতি-নিদর্শন হিসেবে চালু হয়েছে। কোরআন ও হাদীসের মূল নীতির ভিত্তিতে তা পূর্ণ ওয়াজেব অংশ বলে গণ্য করা হয়েছে, যা পালন করা প্রত্যেক দেশে, প্রত্যেক যুগে প্রত্যেক মুসলমানের পক্ষে (শরীয়ত সম্মতভাবে) জরুরি।
ইসলাম যুগে কোরবানির ইতিহাস তালাশ করলে দেখা যায়, রসূলুল্লাহ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরাম সর্বদা মদীনায় কোরবানি করেছেন। কোরবানি করার সেই স্থানই অধিক উত্তম, যেখানে কোরবানির সূত্রপাত হয়েছিল অর্থাৎ মিনায়। এ কারণে রসূলুল্লাহ (সা.) তার শেষ হজে একশটি উট কোরবানি করেন, যেগুলোর মধ্যে তিনি স্বহস্তে ৬৩টি জবাই করেন এবং বাকিগুলো জবাই করেন হজরত আলী (রা.)। (মুসলিম)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘রসূলুল্লাহ (সা.) মদীনা তাইয়েবায় দশ বছর অবস্থান করেন এবং প্রতি বছর কোরবানি করেছেন। এমনকি কোন কোন সময় কোন সফরে কোরবানির দিন এসে গেলে, সেখানেও তিনি কোরবানি থেকে বিরত থাকেননি।’ (তিরমিযি)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘আমরা একবার হুজুর (সা.) এর সফর সঙ্গী হয়েছিলাম, আমরা সাত ব্যক্তির পক্ষ হতে একটি গরু কোরবানি করি।’ (তিরমিযি, নাসায়ী, ইবনে মোজা)। সাহাবায়ে কেরাম বলেন, ‘আমরা মদীনায় আমাদের কোরবানির পশুগুলোকে মোটা তাজা করার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করতাম।’ (বোখারী)
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন