করোনা মহামারিতেও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের রাজস্ব আদায় বেড়েছে। গত ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৯৪৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিগত ২০১৯-২০ অর্থ বছরে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ৮৮৬৬ কোটি টাকা। করোনা মহামারির মধ্যেও বিগত বছরের তুলনায় ৫৭৪ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৬.৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের তুলনায় নিবন্ধন সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৪৫ শতাংশ । ২০১৯-২০ অর্থবছরে ভ্যাট নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান ছিলো ২১ হাজার ১৪ টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ৯৪ টি।
গেল জুন মাসের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায় রিটার্ন দাখিলকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৩ হাজার ১৯৬ টি। নিবন্ধনের তুলনায় রিটার্ন দাখিলের হার ৭৭ শতাংশ । অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ২১ হাজার ৫১২ টি শতকরা হিসাবে যা প্রায় ৭০ শতাংশ । অনলাইনে অথবা মোট রিটার্ন দাখিলের সংখ্যার ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ববোর্ডের ১২ টি ভ্যাট কমিশনারেটের মধ্যে এই কমিশনারেটেই সবচেয়ে বেশি রিটার্ন দাখিল করা হয়ে থাকে।
করোনা অতিমারীর এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির মধ্যে বছরের উল্লেখযোগ্য সময় কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলার পর্যটন এলাকা বন্ধ ছিলো। হোটেল, রেস্টুরেন্ট, বিউটি পার্লার, কমিউনিটি সেন্টারসহ বেশকিছু সার্ভিস সেক্টরের কার্যক্রম সীমিত ছিলো। এতোসব প্রতিকুলতার মধ্যেও এই বিশাল অর্জনে স্বস্তিতে কর্মকর্তারা ।
কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন বলেন, এই অর্জনের সকল কৃতিত্ব কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, চট্টগ্রামের সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের। তাদের নিরলস প্রচেষ্টা, অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আন্তরিকতার সাথে কর্ম সম্পাদনের ফসল এই অর্জন। তিনি জানান জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, সদস্যগণ, অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ বিভিন্ন সময় আমাদের দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন। অনুপ্রেরণা ও সাহস যুগিয়েছেন । তিনি করদাতাসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
করদাতাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে তার দপ্তর অনলাইনে সহজে নিবন্ধন ও রিটার্ন দাখিলের জন্য ৮ টি বিভাগীয় দপ্তরের মাধ্যমে ৩ টি ভ্যাট মেলার আয়োজন করে। মার্কেটে মার্কেটে ভ্যাট বুথ স্থাপনের মাধ্যমে কাঙ্খিত সেবা প্রদান করেছে। যার প্রভাব রাজস্ব আদায়সহ অন্যান্য অর্জনে প্রতিফলিত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন