দীর্ঘ অপেক্ষার পর অবশেষে আজ শুক্রবার (২৩ জুলাই) জাপানের টোকিওতে বাংলাদেশ সময় বিকেল পাঁচটায় দর্শকহীন গ্যালারির সামনে আতশবাজির ঝলকানিতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। তবে অনুষ্ঠানে দর্শক না থাকলেও ছিলেন বেশ কয়েকটি দেশের প্রধানরা। প্রধান অতিথি হিসেবে আয়োজনের উদ্বোধন করেন জাপানের সম্রাট নারুহিতো। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট অ্যামানুয়েল ম্যাক্রো ও মার্কিন ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন। প্রায় ৭০ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন স্টেডিয়ামে ভিআইপি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকছেন মাত্র ৯৫০ জন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুরু হয়েছে অ্যাথলেটদের প্যারেড। সবার আগে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছেন গ্রিসের অ্যাথলেটরা। এরপর অলিম্পিক কমিটির শরনার্থী দল। তারপর ইংরেজি অদ্যাক্ষর ‘আই’ দিয়ে শুরু হওয়া দুই দেশ আইসল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ড স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেছে।
অ্যাথলেটদের প্যারেড শুরুর আগে অলিম্পিক লরেল নামের বিশেষ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের নোবেল পদকজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে। ভার্চুয়ালি দেয়া হয় এই সম্মাননা। খেলাধুলার উন্নয়নের জন্য বিশেষ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে এই সম্মাননা পেয়েছেন ইউনূস।
একদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান চলছে, অন্যদিকে চলছে অলম্পিক আয়োজন বিরোধীদের আন্দোলন। তবে সব কিছু পেছনে ফেলে আগামী ১৫ দিন বিশ্ব মাতবে অলিম্পিক নিয়ে।
তবে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ফুটবল ও আর্চারির লড়াই। এছাড়া ১১ হাজারের বেশি অ্যাথলেট অংশ নিয়েছে এই প্রতিযোগিতায়।
উদ্বোধোনী অনুষ্ঠানে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে জাপান সম্রাট নারুহিতো ছাড়া রাজ পরিবারের অন্য কোনো সদস্য অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছে না বলে জানিয়েছে রাজ পরিবারের মুখপাত্র সংস্থা। সূত্র : বিবিসি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন