করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতির মধ্যেই তীব্র শৈত্যপ্রবাহ ও তুষারপাতের কারণে জবুথবু হয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ ও মৃত্যুর রেকর্ড যখন প্রতিদিন ঊর্ধ্বগতি তখন শৈত্যপ্রবাহের তীব্রতা ও তুষার চাদরে ঢেকে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকার জনজীবন। শীত, তুষার এবং করোনায় নাকাল জনজীবন। গত কয়েক দিন থেকে চলে আসা তীব্র শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশটির অধিকাংশ প্রদেশ ভারি তুষারপাতের চাদরে ঢেকে গেছে। চারদিকে ধবধবে সাদা পরিবেশ বিরাজ করছে। সেই সাথে কনকনে ঠান্ডা বাতাস শীতের তীব্রতা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তীব্র এ শীতের মধ্যে কোনো কোনো প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জনজীবনে আরও দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। এই মুহূর্তে আফ্রিকা মহাদেশে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা। এ দেশটিতে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২২ হাজার লোক করোনা আক্রান্ত হচ্ছে এবং প্রতিদিন ৪ থেকে ৬শ লোকের মৃত্যু হচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় গত ১৬ মাসে করোনায় সর্বমোট আক্রান্ত হয়েছে ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৩৩০ জন। সর্বমোট মৃত্যু হয়েছে ৬৮ হাজার ৬২৫ জন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশটিতে লকডাউন চলছে; তারপরও সংক্রমণ এবং মৃত্যু থেমে নেই। দক্ষিণ আফ্রিকা শীতপ্রধান দেশ। তবে চলতি বছরের শীত গত ৬ বছরের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। চলতি মৌসুমের শীতে তাপমাত্রা মাইনাস ৭ পর্যন্ত নেমে এসেছে। দক্ষিণ আফ্রিকান ওয়েদার সার্ভিসের মুখপাত্র গারথ সাম্পসন জানিয়েছেন, দেশের বেশিরভাগ এলাকায় চলমান শৈত্যপ্রবাহ আরও এক সাপ্তাহ অব্যাহত থাকবে। সেই সাথে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যার আশঙ্কাও রয়েছে। চলতি সাপ্তাহে জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া, ব্লুমফন্টেইন, কেপটাউন, ইস্ট লন্ডনসহ বেশকিছু এলাকায় তাপমাত্রা শূন্যের নিচে নেমে আসবে। এমন বৈরী আবহাওয়া আগামী এক সাপ্তাহ অব্যাহত থাকবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, আজও দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাত হয়েছে; যা আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে। চলমান বৈরী আবহাওয়াতে দেশের জনগণকে সাবধানে চলাফেরা করতে অনুরোধ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়েদার সার্ভিস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন