পটুয়াখালীর দুমকিতে টানা বর্ষণ ও আকস্মিক ঝড় পরবর্তী পাওয়া তথ্যে ৫টি ইউনিয়নে ১২২টি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এছাড়াও ৩৭৭৭টি ছোট বড় গাছ উপড়ে পড়েছে বন্ধ রয়েছে অধিকাংশ এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ।স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে বহু ফসলী জমি পানির নিচে তলীয়ে রয়েছে। অধিকাংশ এলাকার পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে যাওয়ায় কয়েকশত ঘের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানদের প্রাথমিক তথ্যসূত্রে ১নং পাঙ্গাসিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান,তাঁর ইউনিয়নে ২৭টি ঘর এবং ১৩৫০টি ছোট বড় গাছ উপরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২নং লেবুখালী ইউপি চেয়ারম্যান জানান,তাঁর ইউনিয়নে ৩৭টি ঘরে ও ১০০১টি গাছ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।৩নং মুরাদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান,তাঁর ইউনিয়নে ৫টি ঘর পূর্ণাঙ্গ এবং ২৮টি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এছাড়াও ৩৫০টি বড় গাছ উপরে পড়েছে। ৪নং আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জানান,তাঁর ইউনিয়নে ৪টিকে ঘর পূর্ণাঙ্গ এবং ১০১২টি গাছ উপরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৫নং শ্রীরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জানান,তাঁর ইউনিয়নে ৪টি ঘর পূর্ণাঙ্গভাবে এবং ১৭টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত এছাড়াও ৬৪টি বড় গাছ উপরে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।তিনি আরো জানান অধিকাংশ পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে এবং একটি গরুর উপর গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।উল্লেখ্য যে গত ২৭শে জুলাই দিবাগত রাতে পটুয়াখালী বরগুনা সহ উপকূলীয় অঞ্চলে আকস্মিক ঝড় আঘাত হানলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন সহ এ ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হন। দুমকি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান,ক্ষতিগ্রস্তদের প্রকৃত তালিকা তৈরি করে জমা দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে বলা হয়েছে এবং তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে টিন, খাদ্যসামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার কিছু এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে,পল্লীবিদ্যুতায়ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন পরিপূর্ণ বিদ্যুৎ চালু হতে আরও দু-এক দিন লাগতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন