যশোরের চৌগাছায় দুর্বৃত্তদের হামলায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য আওরঙ্গজেব চুন্নু এবং পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন অর রশীদ গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। গতকাল বিকাল তিনটার দিকে চৌগাছা-যশোর সড়কের সলুয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আওরঙ্গজেব চুন্নু চৌগাছা সদর ইউনিয়নের মন্মথপুর এবং হারুন অর রশীদ পৌরসভার তারনিবাস গ্রামের বাসিন্দা। আহত আওরঙ্গজেব চুন্নু জানান, আমার বড় ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শামীম রেজাকে শনিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক নির্বাহী সদস্য জসিম উদ্দিনের একটি সাজানো চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার করে পুলিশ। গতকাল তাকে যশোর আদালতে পাঠানো হয়। আমরা আদালতে তাকে দেখতে যাই। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে বাড়ি ফেরার পথে চৌগাছা-যশোর সড়কের সলুয়া ডিগ্রি কলেজের সামনে পৌঁছলে আমাদের পেছনে আসতে থাকা জসিম উদ্দিনের মাইক্রোটি আমাদের গাড়ির সামনে আঁড় করে দেয়। তখন ওই মাইক্রো থেকে নেমে আমার ছেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলার বাদী ও চৌগাছা শহরে জসিম উদ্দিনের ফুডল্যান্ড রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ এবং তার আরেক ভাই আমাদের গাড়ি থেকে বের করে নেয়ার চেষ্টা করে।
এসময় ওই মাইক্রোর মধ্যে থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য জসিম উদ্দিন বলেন, ‘নেতাকে বের করে নিয়ে আয়’। এরপর তারা আমাদের দু’জনকে গাড়ি থেকে বের করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়। পরে যশোর থেকে চৌগাছার দিকে আসা যশোর হাসপাতালের একজন স্টাফ আমাদের উদ্ধার করে একটি ভ্যানে করে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালে দেখা যায় তাদের হাত, পা ও পিঠে মারাত্মক জখমের চিহ্ন। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাজিন আহসান বলেন, তাদের মধ্যে বয়স্ক লোকটির অবস্থা বেশি খারাপ।
দু’জনকেই উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। দুজনেরই শরীরে ভারী কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ বলেন, অপরাধী যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না। ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন