বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ইনকিলাব সম্পাদকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হাইকোর্টে স্থগিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০২১, ৩:২০ পিএম | আপডেট : ৫:৪৪ পিএম, ২৩ আগস্ট, ২০২১

দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে মাদারীপুরে দায়েরকৃত মানহানির মামলা স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আজ (সোমবার) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
ইনকিলাব সম্পাদকের পক্ষে শুনানি করেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)’র প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনিজল মোরসেদ। তিনি জানান,হাইকোর্ট মামলাটির কার্যক্রম চার মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এর আগে গতবছর ৩১ আগস্ট মাদারীপুরে ইনকিলাব সম্পাদক বাহাউদ্দীনসহ তিন সংবাদকর্মীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করা হয়। সাবেক নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানের মেয়ে সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সেসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দৈনিক ইনকিলাবে সম্পাদকীয় প্রকাশ করে। সম্পাদকীয়টির বিষয়ে পরে সংশোধনী ছাপা হলেও ওই সম্পাদকীয়টি উদ্ধৃত করে মাদারীপুর চীফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাটি করেন মাদারীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া। এর আগে একই ঘটনায় ঢাকা মেট্টো পলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরেকটি মামলা করেন শাজাহান খান এমপি।
এর মধ্যে মাদারিপুরে দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুল হাফিজ এবং বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় এলে একজন বিচারপতি শুনানি গ্রহণে বিব্রতবোধ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানো হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আবেদনটি শুনানির জন্য বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী এবং বিচারপতি একেএম জহিরুল ইসলামের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান। শুনানি শেষে উপরোক্ত আদেশ দেন হাইকোর্ট।
শুনানিতে এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আইন অনুযায়ী মানহানির ক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি মামলা করতে পারেন। একই বিষয় নিয়ে একাধিক মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। কিন্তু উক্ত সম্পাদকীয়র বিষয়ে জনাব এএমএম বাহাউদ্দীনের বিরুদ্ধে ঢাকায় উক্ত এমপি স্বয়ং বাদী হয়ে একটি মানহানি মামলা করার পরও মাদারিপুরে একই ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা হয়রানিমূলক এবং আইনের অপব্যবহার। একই গ্রাউন্ডে এক সঙ্গে দু’টি মামলা চলতে পারে না। শুনানিতে এডভোকেট মনজিল মোরসেদকে সহায়তা করেন এডভোকেট রিপন বাড়ৈ এবং এডভোকেট সঞ্জয় মণ্ডল।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন