ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, যতদিন আল্লাহর ঘর মসজিদ থাকবে, মসজিদে মুসল্লি থাকবে, দ্বীনি মাদরাসা-মক্তব থাকবে, দ্বীনের চর্চা থাকবে ততদিন পৃথিবী ধ্বংস হবে না। তিনি বলেন, আজ দেশে সবকিছু স্বাভাবিক গতিতে চলছে। কলকারখানার চাক্কা ঘুরছে, বিনোদন কেন্দ্র খুলছে, অফিস-আদালত, ব্যাংক বীমা সাধারণ গতিতে চলছে। কিন্তু সকল মাদরাসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তার মানে কী? তিনি বলেন, খুব গভীর ভাবে ভাবতে হবে, এখানে কোন চক্রান্ত কাজ করছে কিনা করোনার অজুহাতে। যদি ভ্যাকসিন দিতে হয় দেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে দেন, কিন্তু এভাবে অজুহাত সৃষ্টি করে দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কোন মানে হয়না। আজ বৃহস্পতিবার বাদ আছর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংলগ্ন কর্নকাঠী মসজিদ উদ্বোধন উপলক্ষে উপস্থিত এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন।
মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের এদেশে ইসলাম আছে, ইসলাম থাকবে, মসজিদ মাদরাসা আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এ নিয়ে ষড়যন্ত্র করলে তা কারোর জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। যতদিন আল্লাহ ও রাসুল (সা.) এর নাম নেয়ার মত মানুষ থাকবে ততদিন পৃথিবীও ধ্বংস হবে না। কাজেই নিজেদের সর্বনাশা বিপদ ডেকে আনা ভাল লক্ষণ নয়। এজন্য আল্লাহর কালাম কোরআন তেলাওয়াত, হাদীসে নববী (সা.) এর চর্চাকেন্দ্র মাদরাসাগুলো খুলে দেয়াই মঙ্গলজনক। না দেয়াই ক্ষতির কারণ। সেইসাথে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও খুলে দেয়া জরুরি। দেশের মানুষ তাদের সন্তানদের নিয়ে গভীর উদ্বেগের সাথে দিন কাটাচ্ছেন।
এদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম এক বিবৃতিতে বলেছেন, অবিলম্বে কওমি মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। সরকার সবকিছু খুলে দিলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে টালবাহানা করে জাতির সর্বনাশা ডেকে আনছে। সরকার বলছে টিকা দেয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলবে। কিন্তু এই বক্তব্য শুভংকরের ফাঁকি আর কিছুই নয়। সরকার যদি আন্তরিক হয়, তাহলে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কেন শিক্ষার্থীদের টিকা নিশ্চিত করছে না? মাওলানা ইমতিয়াজ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না খোলার পিছনে কোন রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি কাজ করছে কিনা, তা নিয়ে জনমনে প্রবল সন্দেহ তৈরি হয়েছে। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, আর টালবাহানা না করে দ্রুত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিন। অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের টিকার আওতায় আসুন এবং এখনই প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দিন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন