রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের কিনার থেকে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ৪২ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। বালু উত্তোলন বন্ধে নির্বাহী প্রশাসনের রহস্য জনক নীরবতা ও ব্যাপকভাবে নদী ভাঙন বিস্তৃত হওয়ায় আদালত এমন সিদ্ধান্ত নেয় বলে সংশ্লিষ্ট একধিক আইনজীবি জানান। জেলায় পরিবেশ আন্দোলনের নেতারা আদালতের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান।
গতকাল বুধবার দুপুরের পর কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (আমলী আদালত, রৌমারী) বিচারক মো. সুমন আলী এ আদেশ দেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ইসমাঈল হোসেন এ তথ্য জানান। আদেশে উল্লেখ করা হয়, রৌমারীতে এক শ্রেণির অসাধু বালু ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে ব্রহ্মপুত্র নদসহ উপজেলার বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে অবৈধ ভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলন করে রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এর বিরুপ প্রভাবে এলাকায় নদী ভাঙনের শিকার হন স্থানীয় অসংখ্য মানুষ। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত সচিত্র প্রতিবেদন জাতীয় ও স্থানীয় একাধিক পত্রিকায় প্রকাশ হলে জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি আদালতের নজরে আসে। কুড়িগ্রাম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে গত ২ মে›২০২১ দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৮৯৮ এর ১৯০(১) (সি) ও ১৫৬ ধারা মতে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জকে সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। থানার অফিসার ইনচার্জ মোনতাছের বিল্লাহ বিষয়টি তদন্ত পূর্বক রৌমারী উপজেলার ব্রম্মপুত্র নদসহ ৪২টি পয়েন্টে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
এসব ড্রেজার মেশিনের বৈধ কোন কাগজপত্র নেই, এমনকি রৌমারী উপজেলায় সরকার ঘোষিত কোন বৈধ বালু মহালও নেই বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। সংশ্লিষ্ট আদালত সূত্র জানায়, পুলিশ কতৃক দাখিলকৃত তদন্ত প্রতিবেদন আদালত পর্যালোচনা করে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ৪২ পয়েন্টে চলমান ড্রেজার মালিকদের গ্রেফতারে পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে আদালত আগামী ২১ সেপ্টেম্বর প্রতিবেদনের দিন ধার্য করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন