শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ ও খননের দাবি স্থানীয়দের

প্রকাশের সময় : ২৯ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

দীপন বিশ্বাস, উখিয়া (কক্সবাজার)  থেকে : কক্সবাজারের উখিয়ার এক সময়ের খর¯্রােতা রেজু খাল ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে। খালটি থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন বন্ধ এবং খনন প্রকল্পের আওতায় আনা না হলে বর্ষা মৌসুমে অপ্রত্যাশিত বন্যার ফলে ফসল উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে খালপাড়ে বসবাসরত হাজার-হাজার পরিবার চাষাবাদ করতে না পেরে আর্থিকভাবে চরম ক্ষতির মুখোমুখি হবেন বলে জানিয়েছেন চাষাবাদমুখীরা। জানা যায়, বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের জিরো পয়েন্টে অবস্থিত সীমান্তের সুউচ্চ পাহাড় ওয়ালিদং-এর পাদদেশ থেকে সৃষ্ট এ খালটি সাপের মতো এঁকেবেঁকে অতিক্রম করেছে রাজাপালং, রতœাপালং, হলদিয়াপালং ও রামু উপজেলার আংশিকসহ ৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন জনপদ। অবশেষে জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি, সোনারপাড়া, নিদানিয়া ও ইনানী হয়ে সরাসরি এ খালটি বঙ্গোপসাগরের সাথে মিলিত হয়েছে। সাগরের সাথে সংযুক্ত বলে রেজু খালে জোয়ার-ভাটা হয়ে আসছে যুগ যুগ ধরে। উখিয়া সদর রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, একশ্রেণির দুর্নীতিবাজ বনকর্মীদের দায়িত্বহীনতা ও উৎকোচ বাণিজ্যের কারণে নির্বিচারে পাহাড় কর্তনসহ শুষ্ক মৌসুমে মাটি দিয়ে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করার ফলে রেজু খালটি নাব্যতা হারাচ্ছে। তিনি বলেন, এ উপজেলার অর্থকরী ফসলের অন্যতম উৎস পানির যোগানদাতা এ রেজুখালকে বাঁচিয়ে রাখা না হলে অদূর ভবিষ্যতে ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় খাদ্যঘাটতির পাশাপাশি শাক-সবজি উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। রেজু খালের মনির মার্কেট গ্রাম এলাকায় বসবাসরত আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান জানান, রেজু খাল থেকে বালি উত্তোলন বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ২০১৪ সালে চিহ্নিত বালিমহালে ১৪৪ ধারা জারি করে লাল পতাকা উত্তোলন করে দিলেও বালুখেকোদের দমানো যাচ্ছে না। জালিয়াপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, রেজু খালটি পুনর্খনন প্রকল্পের আওতায় আনা না হলে মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ে উখিয়ার সাবির্ক চিত্র পাল্টে গিয়ে অস্বাভাবিক দুর্যোগ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে এখানকার জনগণকে। কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সর্দার শরিফুল ইসলাম জানান, রেজু খালের প্রবাহমান পরিবেশ দূষণের অভিযোগে সম্প্রতি জনপ্রতিনিধিসহ ১৭ জনকে আসামি করে পরিবেশ আইনে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রয়োজনবোধে আরো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে হলেও পাহাড় কাটা, বালি উত্তোলন প্রতিরোধে কাজ করা হবে।      

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন