প্রথমবারের মতো রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে শুরু করে মিরপুর পর্যন্ত পরীক্ষামূলক চললো মেট্রোরেল। ছুটির দিন সকালে স্বপ্নের মেট্রো রেল চলাচলের এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বহুল প্রতীক্ষার এই দৃশ্য দেখে আনন্দ ও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন নেটিজেনরা। ফেসবুকের কমেন্টে রাজধানীবাসীদের যেন এনিয়ে আনন্দে ভাসতে দেখা গেছে।
ফেসবুকে অনেকেই মেট্রোরেল চলাচলের ভিডিও শেয়ার করে মন্তব্য করেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে মেট্রো রেল চলাচলের এ দৃশ্য দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন। আজ শুক্রবার (২৭ আগস্ট) সকালে মেট্রোরেল ৬টি বগি নিয়ে মিরপুর পর্যন্ত চারটি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে চলাচল করে।
ফেসবুকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাসুদ পারভেজ সম্রাট লিখেছেন, ‘‘আলহামদুলিল্লাহ। প্রথমবারের মত ভায়াডাক্টের ওপর মেট্রোরেল চলতে দেখলো ঢাকাবাসী। শুক্রবার সকালে উত্তরা দিয়াবাড়ী ডিপো থেকে মেট্রোরেল চলেছে মিরপুর ১২ নম্বর স্টেশন পর্যন্ত।ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।’’
স্বপ্নের এই মেট্রোরেল যথাযথভাবে রক্ষণাবেক্ষণের পরামর্শ দিয়ে মোঃ মিন্টু লিখেছেন, ‘‘এটার দেখভাল ভালোভাবে করা উচিত.. কেউ যাতে কোনোক্রমেই হানিফ ফ্লাইওভারের মত সিঁড়ি না লাগাতে পারে...বাদামওয়ালা,চিপস, মুড়িওয়ালা,আইসক্রিম, বিস্কুট, ডাব এসব নিয়ে ওখানে গিয়ে যাতে নোংরা না করে সে ব্যাপারে অবশ্যই অবশ্যই নজর দিতে হবে..।আগে থেকেই কঠোর হলে সকলে শিখে যাবে যে এটা নোংরা করা যাবে না... আর টয়লেটটা অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে...আমাদের আবার স্বভাব আছে টয়লেট ব্যবহারের পর আরামছে চলে আসা..এসবের নিয়ম আগে থেকেই পরবর্তী প্রজন্মকে শেখাতে হবে এবং আমাদের সকলকে তা শিখে মেনে চলতে হবে.... তবেই এটা সুন্দর থাকবে.. নতুবা গন্ধ নোংরা থাকবে নানা রকম অভিযোগ থাকবে।’’
প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মনির তন্ময় লিখেছেন, ‘‘মানবতার কন্যা এই দেশের হতাশ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর অঙ্গীকার করেছিলেন। তার যোগ্যতা এবং বিচক্ষণ নেতৃত্বের মাধ্যমে জাতীয় অগ্রগতির গতিপথ পরিবর্তনে অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, তার চলার পথে চ্যালেঞ্জ এবং বিপত্তিগুলি মোকাবেলা করে।আমরা উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য পথে মুগ্ধ এবং তাকে "মানব নিরাপত্তার চ্যাম্পিয়ন" বলে অভিহিত করছি।’’
মেট্রোরেলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার পরামর্শ দিয়ে ইব্রাহিম লিখেছেন, ‘‘বাংলাদেশ তাই ভয় হয়,,নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকবে-তো, নাকি চলতি পথে বিদ্যুৎ গোলা যোগের কারণে মধ্যে পথে সাময়িক যাত্রা বিরতী দিতে হচ্ছে। তাই মেট্রোরেলের জন্য আলাদা জরুরি বিদ্যুৎ ও আইন ব্যবস্থা করলে ভালো হয়।’’
সবার প্রতি আব্দুল বাসিতের আহ্বান, ‘‘এখন আমাদের সবার দায়িত্ব মেট্রোরেলের সকল কোচ ও প্লাটফর্ম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা যেমনটা বিদেশে রাখে। আমাদের দেশ ও সম্পদ আমাদেরই দেখভাল করতে হবে।’’
ফাজার আকন্দ লিখেছেন, ‘‘মেট্রোরেলের পিলার ও মেট্রোরেলের গাঁয়ে যেন কোন ভাবেই কোন পোষ্টার, ব্যানার, ফেস্টুন না লাগানো হয়,সে জন্য মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ও সিটি কর্পোরেশনকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।’’
‘‘অনেক স্বপ্ন আশা করি আমাদের ঢাকাবাসীর কষ্ট লাঘব হবে’’ লিখেছেন সৈকত কবির।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন