যানজটে নাকাল রাজধানীর মানুষকে স্বস্তি দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও সড়কে দিনদিন গাড়ির চাপ বাড়ায় ও শৃঙ্খলা না থাকায় খুব একটা কাজে আসছে না। তবুও নিরন্তর চেষ্টা সরকারের। বিজয়ের মাস ডিসেম্বরের পর থেকে এখন অবধি মেট্রোরেলের একাধিক স্টেশন খুলে দেওয়ায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলতে স্বস্তি আসছে নগরবাসীর। বিশেষ করে মিরপুর এলাকার যেসব মানুষ এই রুট ব্যবহার করছেন তারা নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন। এবার এই এলাকার মানুষের চলাচল স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে খুলে দেওয়া হলো কালশী ফ্লাইওভার।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টার দিকে মিরপুর বালুর মাঠে এক সুধী সমাবেশে যোগ দিয়ে উড়াল সেতুটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২ দশমিক ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি চালু হলে মিরপুরের সঙ্গে বনানী, উত্তরা এবং রাজধানীর পূর্বাংশের যোগাযোগ আরও সহজ হবে বলে আশা করছে সরকার।
ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র আতিকুল ইসলামও মনে করেন কালশী ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় মিরপুরবাসী যানমুক্ত থাকতে পারবে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফ্লাইওভারটি চালু হলে কয়েক কোটি মানুষের ব্যস্ত নগরীর মিরপুরের সঙ্গে বিমানবন্দর, উত্তরা, অন্যদিকে বাড্ডা, বনানী ও মহাখালীর সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে দূরত্ব কমাবে।
প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ১০ থেকে ১৫ মিনিটের মধ্যে মিরপুর থেকে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে।
ঢাকা উত্তর সিটির কর্মকর্তারা বলছেন, ওই এলাকায় মিরপুর সেনানিবাস, চিড়িয়াখানা, সেনাবাহিনীর আবাসন, অনেক শিক্ষা ও চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান, জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। মিরপুরের যাতায়াত সহজ করতে আগেই নতুন সড়ক ও সেনানিবাস এলাকায় উড়ালসড়ক নির্মাণ করা হয়েছিল। এতে মিরপুরে যাতায়াতে সড়কটির ব্যবহার অনেক বেড়ে যায়।
তবে কালশী মোড়ে সরু থাকায় সেখানে প্রায় যানজট হতো। এখন ওই পথ দৈনিক এক লাখ যানবাহনের চাপ সামলাতে পারবে।
প্রকল্প বিবরণী অনুযায়ী, ফ্লাইওভারটি ইংরেজি ‘ওয়াই’ অক্ষরের মতো। এই প্রকল্পে যাত্রীদের ভ্রমণ সহজ করার লক্ষ্যে আগের চার লেন বিশিষ্ট রাস্তাগুলোকে ছয়লেন করা হয়েছে।
প্রধান চারলেন বিশিষ্ট ফ্লাইওভারটি ইসিবি স্কোয়ার থেকে কালশী ও মিরপুরের ডিওএইচএস হয়ে গেছে। দুইলেন বিশিষ্ট র্যাম্পটি কালশী মোড় থেকে শুরু হয়ে কালশী সড়কে যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন