সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। চট্টগ্রাম দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী। দেশের আমদানি-রফতানির বেশিরভাগ হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের এই প্রকল্প দেশের বন্দর নগরী চট্টগ্রামের যানজট নিরসন ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা রাখবে। ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে।
গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রামে আরবান ট্রান্সপোর্টেশন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং মেট্রোরেলের প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম শুরুর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। নগরীর রেডিসন বøু চট্টগ্রাম বে ভিউয়ের সম্মেলনকক্ষে এ অনুষ্ঠান হয়। এতে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আজকের প্রতীক্ষিত এই দিনটি চট্টগ্রামবাসীর কাছে পরিবহনের ক্ষেত্রে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
চট্টগ্রামের উন্নয়নে আরো একটি মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণসহ সরকারের নানা কার্যক্রমের কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন সময় দেবেন, তখন উদ্বোধন করা হবে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল।
সেতুমন্ত্রী জানান, আগামী ২ ফেব্রæয়ারি ঢাকায় দেশের প্রথম পাতাল রেল মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-ওয়ান এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের সবচেয়ে বড় এ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার কোটি টাকা। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার উদ্যোগ নিয়েছে। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে এই কাজ হবে।
চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণে প্রাক-সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। এতে কোরিয়া ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (কোইকা) দেবে ৫৭ কোটি টাকা। বাকি টাকা দেবে সরকার। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নগরীর যানজটের অবসান হবে। অর্থনৈতিক কর্মকাÐ হবে আরও গতিশীল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী, দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং গুন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি প্রিন্সিপাল রওশন আরা মান্নান, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ, ইআরডি সচিব শরিফা খান, ডিটিসি-এর নির্বাহী পরিচালক সাবিহা পারভীন, কোইকা বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইয়াং-আহ দোহ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামের জন্য আজ শুভদিন। চট্টগ্রামের মানুষও ভাবেননি চট্টগ্রামে মেট্রোরেল হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিশেষভাবে নিবেদন করেছি চট্টগ্রামে মেট্রোরেল করার জন্য। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন মেট্রোরেল করার জন্য। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। পাহাড় কাটার কারণে চট্টগ্রামের নান্দনিকতা নষ্ট হয়েছে বলে আক্ষেপ করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, মেট্রোরেল নির্মিত হলে চট্টগ্রামের নান্দনিকতা ফিরবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন