যে কোন নতুন সৃষ্টি সত্যি আনন্দের, দিন রাত পরিশ্রম করে, বিভিন্ন ফলের নতুন নতুন জাত সৃষ্টি করে রীতিমত সাড়া জাগিয়েছেন, প্রশংসা কুড়াচ্ছেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোজদার হোসেন।
হর্টিকালচার সেন্টার, কল্যাণপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ। পোষ্ট কোড নং- ৬৩০০
১৯৫৬ সালে তদানিন্তন সরকারের কৃষি বিভাগ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত হয়। পরে ১৯৬৮ সালে বিএডিসি- এর কৃষি খামার ও পরে ১৯৭৩ সালে উদ্যান উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যান বেজ রুপে চালু হয়। ১৯৮২ সালে কৃষি সসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খাদ্য শস্য উইং এর আওতাধীন হর্টিকালচার সেন্টার রুপ লাভ করে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের নতুন নাবি (বিলম্বে ফলন হয়) জাতের সন্ধান মিলেছে। বিশেষ বৈশিষ্ট্যের এ জাতের আমটিকে সংগ্রামী কৃষক নেতা ইলা মিত্রের নাম অনুসারে ইলামতি রাখার প্রস্তাবও দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক বলেন, আমরা এর আগে নাবি জাত হিসেবে গৌড়মতি মুক্তায়িত করেছিলাম। আমাদের সন্ধান পাওয়া এই গুটি আমটি গত ও চলতি বছর পর্যবেক্ষণ করেছি। এর মিষ্টতা গৌড়মতিকেও ছাড়িয়ে গেছে। আমটির আলাদা বৈশিষ্ট্যগুলো আমাদের আকৃষ্ট করেছে। নাবি জাত হিসেবে আমটি সম্ভাবনাময়।
মোজদার হোসেন আরো বলেন, আমরা জানি এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য ইলামিত্র অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাই আমরা চিন্তাভাবনা করছি কৃষকদের প্রতি ইলামিত্রের ত্যাগ ও ভালোবাসাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে নাবি জাত হিসেবে আমটির নামকরণ ‘ইলামতি’ করার। আমরা আমাদের দুই বছরের পর্যবেক্ষণ ও আমটির সম্ভাবনার বিষয়টি সামনে এনে নতুন জাত হিসেবে এটির মুক্তায়নের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ এগিয়ে নিচ্ছি।
গত মঙ্গলবার বিকালে এ প্রতিবেদক চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারে গিয়ে দেখতে পান সুন্দর, মনোরম পরিবেশে নারী পুরুষ, বিভিন্ন বয়সী মানুষ তাদের পছন্দের ফলজ, ঔষধিগুণ সম্পন্ন গাছ, ফুলসহ বিভন্ন ধরণের সুলভ মূল্যে কিনতে পেয়ে দারুণ খুশি।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মোজদার হোসেন, মেইন গেটের দুপাশে লাল শাপলা লাগিয়েছেন, ফুলও সত্যি সুন্দর লাগছে, মানুষের নজর কেড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন