ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়ে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে পড়েছে। ৫টি ইউনিয়নের ১২টি গ্রাম প্লাবিত হয়ে এসব মানুষ পানি বন্দী হয়েছে। রমনা ইউনিয়নের বাসন্তিরগ্রাম, টোনগ্রাম, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াই বরিশাল, মনতোলা, শাখাহাতী, নয়ারহাট ইউনিয়নের ঠাকুরেরচর, উত্তর খাউরিয়া, অষ্টমীরচর ইউনিয়নের মুদাফৎকালিকাপুর, ছালিপাড়া, খারুভাঁজ,খোদ্দবাঁশপাতারি,খামারবাঁশপাতারিও নটারকান্দি, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চরউদনা, চরবড়ভিটাসহ এসব এলাকার মানুষ অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন। ইতোপূর্বে পানি বন্দী মানুষের মাঝও দূর্দশা দেখা দিয়েছে। অসহায় পরিবারের মাঝে কোন প্রকার ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছেনি বলে অভিযোগ করেছেন বন্যা কবলীত মানুষরা। অসময় বন্যা হওয়ার ফলে পানিতে তলিয়ে যাওয়া রোপাক্ষেত নষ্ট হওয়ার আশংকায় এলাকার কৃষকরা হতাশা গ্রস্থ হয়ে পড়েছে। বাড়ি-ঘরে পানি ওঠায় লোকজন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাউবো বাঁধসহ অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছেন।গবাদি পশু নিয়ে পড়েছেন বিপাকে মানুষ।রমনা মডেল ইউনিয়নের টোন গ্রাম এলাকার জয়বানু(৫৫), মোশেদা বেগম(৪০) জানান গত দুইদিন থেকে বাড়িতে পানি এখন পর্যন্ত কাইয়ো খোঁজ খবর হামার নিলে না। ছাওয়া পাওয়া নিয়ে খুব কষ্টে আছি। ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৪২ সেঃ মিঃ উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা( পি আইও)মোহাম্মদ কহিনুর রহমান বলেন,মঙ্গলবার বন্যা কবলিত ২০টি পরিবারকে ত্রান সামগ্রী দেয়া হয়েছে। পর্যায় ক্রমে বাকিদের কে দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন