উপমহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্ততম কওমি মাদরাসা আল—জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসায় এবার কে হচ্ছেন মহাপরিচালক, মুহতামিম? এনিয়ে আগামীকাল বুধবার হবে শুরা বৈঠক। নির্বাচিত করবেন মাদরাসার মহাপরিচালক, মুহতামিম। কওমি অঙ্গনের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ এ মাদরাসায় দীর্ঘদিন ধরে মহাপরিচালকের পদে ছিলেন আল্লামা আহমদ শফী। বছরখানেক আগে ছাত্রদের আন্দোলনের তোপের মুখে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। সেই থেকে মহাপরিচালক পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। তিন জন সিনিয়র শিক্ষক দিয়ে তিন সদস্যের একটি কমিটি (প্যানেল মুহতামিম) এর মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে মাদরাসা। ওই কমিটিতে রাখা হয়— মাওলানা আব্দুস ছালাম চাটগাঁমী, আল্লামা শেখ আহমদ, মাওলানা ইয়াহিয়া। অদৃশ্যভাবে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীই মাদরাসার পরিচালনাসহ সার্বিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেন বলে জানা যায়। যে কারণে মহাপরিচালক পদে কেউ না থাকলেও শূন্যতা অনুভব করেনি মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
হেফাজতে ইসলামের অঁাতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত এই মাদরাসার মহাপরিচালক, আল্লামা আহমদ শফীর পরবর্তী মহাপরিচালক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন মাদরাসার পাঁচ সিনিয়র শিক্ষক। তারা হলেন— মাদরাসা পরিচালনা কমিটির তিন সদস্য মাওলানা আব্দুস ছালাম চাটগাঁমী, আল্লামা শেখ আহমদ এবং মাওলানা ইয়াহিয়া। এ ছাড়া আলোচনায় রয়েছেন মুফতি জসিম উদ্দিন এবং মাওলানা শোয়েবও।
হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্য, ফতেপুর নছেরুল উলুম মাদরাসার মহাপরিচালক মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, আগামীকাল বুধবার হাটহাজারী মাদরাসার শুরা সদস্যদের বৈঠক হবে। এতে মহাপরিচালক (মুহতামিম), সহকারী মহাপরিচালক (নায়েবে মুহতামিম) ও শায়খুল হাদিস, শিক্ষা পরিচালক নির্বাচন করা হবে। এরই মধ্যে দাওয়াতনামা শুরার সব সদস্যের হাতে পেঁৗছে দেয়া হয়েছে। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুর পর মাদরাসায় ১৩ জন শুরা সদস্যের মধ্যে আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী এবং মাওলানা নোমান ফয়জী ইতিপূর্বে মারা গেছেন। বর্তমানে শুরা সদস্যের সংখ্যা ১১ জন।
মাদরাসার আরেক শুরা সদস্য, ফটিকছড়ির জামিয়া উবাইদিয়া নানুপুর মাদরাসার পরিচালক মাওলানা সালাহউদ্দিন নানুপুরী বলেন, বুধবার শুরা বৈঠক হবে। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে মাদরাসার নতুন মহাপরিচালক কে হবেন। শুরা বৈঠক যেটি ভালো মনে করবে সেটিই সিদ্ধান্ত নেবে। তবে বৈঠকে বাবুনগরীর মৃত্যুতে শূন্য হওয়া পদে নিয়োগ হতে পারে। আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী একসময় মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর আগে তিনি পরিচালনার কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি শুধু প্রধান শায়খুল হাদিস ও শিক্ষা সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। দ্বীনি এ প্রতিষ্ঠান আশাকরি স্বাভাবিক নিয়মে পরিচালিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন