শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

তালতলীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

বরগুনা জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০৯ এএম

বরগুনার তালতলীতে আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্রা খাল ও সড়কের দুই পাশে সরকারি জমি দখল করে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ১২৩টি বসত ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। গতকাল সকালে এসব উচ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি বহুতল ভবনও রয়েছে। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কাওসার হোসেন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর অহম্মদ।

জানা যায়, তালতলী উপজেলার আমতলী-তালতলী আঞ্চলিক সড়কের শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজার সংলগ্ন কচুপাত্র খাল ও সরকারি জমি দখল করে আধা পাকা ও টিনের ঘর ও বহুতল ভবন উঠিয়ে দখল করে স্থানীয় এক শ্রেণির প্রভাবশালী মহল। খাল দখল করে ঘর নির্মাণ করায় খালের গতিপথ সংকুচিত হওয়ায় নাব্যতা সংকটে পানি প্রবাহ কমে যায়। প্রয়োজনীয় পানি না পাওয়ায় কৃষি কাজে বিঘ্ন ঘটছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। খাল দখল করে অবৈধভাবে আধাপাকা ঘর নির্মাণ করায় খালটি এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। অন্যদিকে বাজারের সরকারি খাস জমি দখল করে স্থানীয় বৈদ্য ডাক্তার নামে জনৈক ব্যক্তি বহুতল পাকা ভবনসহ একাধিক স্থাপনা নির্মাণ করায় বাজারের সকল জমি বেদখল হয়ে যায়। তাছাড়া স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে খালের পার এবং বাজারের সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর বরগুনা জেলা প্রশাসনের কার্যালয় থেকে নোটিশের মাধ্যমে তাদেরকে ৭ দিনের মধ্যে অবৈধ ১২৩টি স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। দখলদাররা নোটিশ আমলে না নিয়ে জবরদস্তি করে এতদিন বসবাস করে আসছে। তারা সরকারি আইনের প্রতি তোয়াক্কা না করে উচ্ছেদ প্রতিরোধে একটি সংগ্রাম কমিটিও গঠন করেন। সকল বাধা অতিক্রম করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সকল অবৈধ স্থাপনা ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কাওসার হোসেন ও বরগুনা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তানভীর আহম্মদ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন