ডান হাতের তালুতে ‘...ক মি মোর’ লিখে এবং অঙ্কন করে ফের তোপের মুখে পড়েছেন আলোচিত-সমালোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার এই অশ্লীল আহ্বানের ব্যাপক সমালোচনা করছেন নেটিজেনরা। দাঁত বের করে প্রকাশ্যে হাতের তালুতে অঙ্কিত ‘মিডল ফিঙ্গার’ প্রদর্শন করে তিনি অশ্লীল আহ্বান জানিয়েছেন বলে ক্ষোভ এখন সর্বত্র।
এবারের বার্তাটি প্রসঙ্গে বুধবার একটি গণমাধ্যমকে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাতে আরও সমালোচনার মুখে পড়েন পরীমনি। ‘...ক মি মোর’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আমার কষ্ট লাগছে এখন। অনেকেই আমার বার্তাটি ঠিক বুঝতে পারছেন না, ভুল বুঝছেন। সবাই ভাবছেন আমি লিখেছি ‘লাভ মি মোর’। আসলে তো আমি লিখেছি ‘...ক (গালি) মি মোর’।’’
পরীমনির এই অশ্লীল বার্তা নিয়ে ভক্ত-সমালোচকরা বিরূপ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ছবিটি ভাইরাল হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটদুনিয়ার বাসিন্দারা। মাদক মামলার আসামীর একের পর এক এহেন বেপরোয়া আচরণে নিন্দা ও ক্ষোভের ঝড় বইছে সাইবার দুনিয়া।
ফেসবুক পেজে শেয়ার করা একটি নিউজের নিচে কমেন্ট বক্সে মোঃ মাশরুর ইবতাশুম লিখেছেন, ‘‘কি জঘন্য একটা অবস্থা!!! নিজের কৃতকর্মের অনুসূচনা তো নাই! আবার হাতের ভিতর লিখে রাখছে ..ক মি মোর? মানুষের কথায় কান দিবেন না এটা সত্য কথা কিন্তু এটা তখন যখন আপনি কোন ভাল কিছু করছেন এবং তার এগেনস্টে মানুষ কিছু বলবে, খারাপ কাজ করার পরে যদি আপনি এই অ্যাটিটিউড টা দেখান, তখন আপনার মানুষ হওয়া নিয়ে প্রশ্ন জাগে!!নিকৃষ্টতম অবস্থা!’’
শাকিল আশরাফ লিখেছেন, ‘‘কথায় আছে, একবার নাক কাটলে যায় জংগলে, লজ্জায়।আর বার বার নাক কাটলে যায় দুয়ারে দুয়ারে। লজ্জাহীন হয়ে গেছে।তার আর এসবে কিছু যায় আসে না।’’
মোঃ রবিউর হোসাইন লিখেছেন, ‘‘এটা ঠিক, তুমি আগের চাইতে এবার আরো বেশি স্বাধীনতা ও টাকা ইনকাম করতে সক্ষম হবে, তবে যদি বাস্তবতা বুঝতে পারো, তাহলে নিজেকে শুধরে নিয়ে সুন্দর একটি জীবন অতিবাহিত করতে চেষ্টা করতে পারো।’’
পরীমনির ‘মি মোর’ লেখা নিয়ে পরীমনির ব্যাখ্যা নিয়ে ফেসবুকে সুবোধ লিখেছে, ‘‘..k me more' এই স্লোগান তাদের জন্য যারা সামনে একরকম পেছনে অন্যরকম' তাহলে এটা আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রযোজ্য। কারন আপনি সিনেমার অন্তরালে যা করেছেন তা নিজে ভাবুন। আপনার 'সু বোধ' জাগ্রত হোক।’’
পলাশ মাহমুদ লিখেছেন, ‘কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না’ বা ‘স্বভাব যায় না মরলে, আর ইল্লত যায় না ধুলে’। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে পরী ট্যাক্সফাইলে বলেছেন, তার বার্ষিক আয় সাড়ে ৯ লাখ টাকা। অথচ তিনি থাকেন ১০ কোটি টাকার বাসায়। কোটি টাকার একাধিক গাড়ি, বিলাসী জীবন, ইয়টে ভ্রমণ, ক্লাবের বিল বা এসব নিয়ে কথা বলা খুব জরুরী নয়। কিন্তু একজন মানুষের উপার্জন ও জীবনযাপন দিয়ে তার গতিবিধি মাপা যায়। পরীর গতিবিধি খারাপ-ভালো সেটা তার বিষয়। কিন্তু ঔদ্ধত্যের সীমা থাকা দরকার আছে। বিবেক বুদ্ধিতে স্বাভাবিক মানুষের পরিচয় দেওয়া দরকার। মানুষের সিম্প্যাথি-ভালোবাসার মূল্যায়ন-সম্মান করা দরকার। আজ তিনি হাতে যা লিখেছেন তা হলো, ‘(?) মি মোর’। একটি শিশু বা কিশোর এটাকে ডায়ালগ হিসেবে ব্যবহার করতেই পারে। আপনি কাকে বা কাদের দিয়ে আপনাকে (?) মোর করাবেন সেটা আপনার বিষয়। কিন্তু পাবলিকলি বিবস্ত্র হয়ে সেটা করাতে পারেন না। হ্যাঁ, সেটা আপনি পারেন যদি মানুষ না হয়ে অন্য কোনো।”
বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আজ (১৫ সেপ্টেম্বর) আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে এই অশ্লীল বার্তা প্রদর্শন করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত চিত্রনায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমনি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন