মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সউদী যুবরাজসহ তিন আরব নেতার ‘ভ্রাতৃপ্রতিম বৈঠক’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০০ এএম

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি, সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সউদ এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ান গত শুক্রবার লোহিত সাগরে একটি ‘ভ্রাতৃত্বপূর্ণ’ বৈঠক করেছেন।

সউদী যুবরাজের বেসরকারি অফিসের পরিচালক বদর আল আসকার টুইটারে তিনজনের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। ‘লোহিত সাগরে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ভ্রাতৃত্বপূর্ণ বৈঠক প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শেখ তাহনুন বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে একত্রিত করে’। গত মাসের শুরুর দিকে, শেখ তাহনুন বিন জায়েদের নেতৃত্বে একটি আমিরাতী প্রতিনিধি দলকে গ্রহণ করেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ। ওই বৈঠকে কাতার ও আরব আমিরাতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করা হয়। বিশেষকরে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে এবং দুই দেশের অভিন্ন স্বার্থ হাসিল করার পাশাপাশি নির্মাণ, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রক্রিয়ায় সহায়ক এমন গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়।

গত জানুয়ারির আলউলা জিসিসি ঘোষণার পর প্রথম সফরে কাতারের আমিরকে জেদ্দায় স্বাগত জানান সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ওই ঘোষণার মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে নতুন করে সুসম্পর্কের সূচনা হয়। এর আগে ২০১৭ সালের জুন মাস থেকে সাড়ে তিন বছর ধরে কাতারর ওপর অবরোধ আরোপ করে রেখেছিল সউদী আরব। ২০২১ সালের শুরুর দিকে কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেন সউদী যুবরাজ।

২০২১ সালের জানুয়ারিতে সউদী যুবরাজ জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে কাতারের আমিরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ওই বৈঠকে উপসাগরীয় সব দেশ আল উলার ঘোষণায় স্বাক্ষর করে। সউদী পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান বলেন ওই ঘোষণার মধ্য দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে কাতারের সঙ্গে সউদী আরবের বিরোধের অবসান হয়।
সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি থেকে কাতারের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। কাতার তা অস্বীকার করে বলেছিল, নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য ছিল তার সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা।

সউদী প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বৈঠকে তারা দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) যৌথ পদক্ষেপকে একীভূত করার উপায় পর্যালোচনা করেছেন। ইরানের বিরুদ্ধে ঐক্যফ্রন্ট গড়ে তোলার লক্ষ্যে ওয়াশিংটন এবং অন্যান্য ইসরাইল ও আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে জড়িত মধ্যপ্রাচ্য চুক্তির ধারাবাহিকতায় এটি একটি উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন। সূত্র : ডন অনলাইন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Islam Islam ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৫৭ এএম says : 0
তিন জনকে একসাথে দেখে ভালো লাগছে।
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১:৫৮ এএম says : 0
আরব নেতাদের ‍মুসলিম বিশ্বের জন্য ভাবতে হবে।
Total Reply(0)
মনিরুল ইসলাম ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:০০ এএম says : 1
তিনজনকেই আমার পছন্দ। কিন্তু তারা মুসলিম দেশগুলোর জন্র কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না।
Total Reply(0)
তানিম আশরাফ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ২:০০ এএম says : 0
আপনাদের জন্য শুভ কামনা।
Total Reply(0)
Burhan uddin khan ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১১:০৮ পিএম says : 0
Excellent...Its really good for the arabs.
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন