কুমিল্লার মুরাদনগরে দাফনের ৮ মাস পর কবর থেকে শাহিনুর আক্তার (২৫) নামে এক যুবতীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিনের উপস্থিতিতে দক্ষিণ ত্রিশ কবরস্থান থেকে পুলিশ ওই লাশ উত্তোলন করে। উত্তোলন শেষে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত শাহিনুর উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের দক্ষিণ ত্রিশ গ্রামের এনামুল মিয়ার স্ত্রী ও নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামের আলী আজ্জম খানের মেয়ে।
জানা যায়, গত ৭ বছর আগে দক্ষিণ ত্রিশ গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে এনামুল মিয়ার সাথে পারিবারিক ভাবে বাখরনগর গ্রামের আলী আজ্জম খানের মেয়ে শাহিনুর আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের ৫ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গত ৯ জানুয়ারি শাহিনুর আক্তার তার স্বামীর বাড়িতে মারা যায়। শশুর বাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করার অভিযোগ এনে গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে নিহতের ভাই মামুন খান বাদী হয়ে কুমিল্লার আমলী আদালতে মামলা করেন। মামলায় শাহিনুরের স্বামী, শশুর ও শাশুড়িসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। ফলে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের নির্দেশ দেয়।
মামলার বাদী ও শাহিনুর আক্তারের ভাই মামুন খান বলেন, ‘আমার বোনকে হত্যার পর নাটক সাজিয়ে তার শশুর বাড়ির লোকজন তড়িঘড়ি করে লাশ কবর দিছে। তারা আমার বোনকে হত্যা করেছে। তাই তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য আদালতের স্বরণাপন্ন হয়েছি।’
নিহতের স্বামী এনামুল মিয়ার সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শাহিনুরের ডায়বেটিস প্রায় সময় নীল হয়ে যেত। যে দিন রাতে সে মারা যায়, সেদিন তার একই অবস্থা হয়েছিল। আমার শশুর বাড়ির লোকজনকে বিষয়টি জানিয়ে রাতেই আসতে বলেছিলাম, কিন্তু তারা আসে নাই। এখন আমার পরিবারকে তারা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে।
মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আদালতের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন শেষে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন