মৃত্যুর প্রায় আড়াই মাস পর খুলনায় ব্যবসায়ী মোহাম্মদ বিপ্লবের (৫৩) লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে আজ রোববার দুপুরে নগরীর গোয়ালখালি কবরস্থান থেকে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুপায়ন দেবের নেতৃত্বে পুলিশ লাশটি উত্তোলন করে।
জানা গেছে, মোটর গ্যারেজ মালিক মোহাম্মদ বিপ্লব গত ৭ মে রাত দেড়টার দিকে মারা যান। ঢাকায় অবস্থানরত তার ছেলে মেহেদী হাসান তুহিনকে মোবাইল ফোনে গ্যারেজের এক কর্মচারী জানান তার বাবা স্ট্রোক করে মারা গেছেন। ওই কথা শুনে তিনি পরদিন দুপুর আড়াইটার দিকে খুলনায় আসেন। তিনি যখন খুলনায় বাবার বাড়িতে আসেন তখন গোয়ালখালী কবরস্থানে লাশ দাফনের সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে। তার অনুপস্থিতিতে মৃত বাবার দাফন, জানাজা সম্পন্ন করা হয়। ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদনও করা হয়। যিনি ময়নাতদন্ত না করার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি বাদীর পরিবারের কেউ নন। তাছাড়া মেহেদী হাসান তুহিন লোকমুখে শুনেছেন মারা যাওয়ার পর তাঁর বাবার মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল ও জিহবা বের হয়ে ছিল। এ সময় সন্দেহ হয় তার বাবাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
মেহেদী হাসান তুহিন গত ২২ মে বাবার হত্যার অভিযোগে খুলনার নালিশী আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিবাদীরা হলেন, হাজী মহসিন রোড এলাকার মুনিয়া বেগম, খালিশপুরের কাশিপুর মালা গ্যারেজ মোড় এলাকার শেখ নাজমুল ও তাঁর মা রেবেকা বেগম, হাজী মহসিন সড়কের মোঃ মানিক শেখ, বিএল কলেজ রোড এলাকার মোঃ মুছা শেখ ও কে এম আব্দুল্লাহ। ২৪ মে শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন ওই আদালতের বিচারক অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুমী আহমেদ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র উপ-পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলামের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিপ্লবের লাশ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্তের জন্য গত ৩ জুন আদালতে আবেদন করেন। আদালত লাশ উত্তোলনের অনুমতি প্রদান করেন। আগামী ৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য্য রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন