শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গাছ কাটা সংক্রান্ত রিট খারিজ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) গাছ কাটা বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বেশকিছু পর্যবেক্ষণও দেয়া হয়েছে। রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল রোববার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ভার্চুয়াল ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটকারী পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সরকারপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
এর আগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মূল নকশার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ, উদ্যান সংরক্ষণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে মূল রূপে রাখার নির্দেশনা চেয়ে গত ৯ মে রিট করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফরমস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নিজেরা করি, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (বøাস্ট), বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), আইন ও শালিস কেন্দ্র (আসক) এবং স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, সরকার হাইকোর্টের ইতিপূর্বে দেয়া রায় ও নির্দেশনা এবং সরকারের মাস্টারপ্লান বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করছে। এজন্য সেখান থেকে অসংখ্য গাছ কাটা হচ্ছে, যা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
শুনানিতে সরকারপক্ষীয় আইনজীব শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ বলেন, এটা সরকারের একটি মেগা প্রকল্প। পরিবেশ রক্ষা করেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এখানে হাজার হাজার লোকের সমাগম হবে। এসব মানুষের জন্য টয়লেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোনো অবকাঠামো করা হচ্ছে না। সেখানে কীভাবে কতটি গাছ লাগাতে হবে, সে বিষয়ে সরকার ৬ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছিল। কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই সব হচ্ছে। ২০০৯ সালে হাইকোর্টের দেয়া নির্দেশনা বাস্তবায়ন করছে সরকার। এখানে অনিয়ম বা পরিবেশ ধ্বংস করে কিছু করা হচ্ছে না। এর মধ্যেই রিট পিটিশনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাছ কেটে প্রকল্প নির্মাণ কেন অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, মূল নকশার বাইরে বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণ কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, এরই মধ্যে যেসব স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা কেন অপসারণে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং ঢাকা মহানগরের মাস্টারপ্ল্যান যেভাবে রয়েছে সেভাবে উদ্যান সংরক্ষণ করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল চাওয়া হয় রিটের আবেদনে। বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণের জন্য গাছ কাটা বন্ধ রাখার নির্দেশনা চাওয়ার পাশাপাশি যেসব গাছ কাটা হয়েছে তার পরিবর্তে তিনগুণ গাছ লাগানোর নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রধান বন সংরক্ষক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ও গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে বিবাদী করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন