ভিন্ন ধর্মের যুগলকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের মেরঠে। জোর করে সঙ্গীকে জুতাপেটা করতে বাধ্য করা হয়েছে এক তরুণীকে। যে সংগঠন ওই নির্দেশ দিয়েছে, তাদের সদস্যরা সেই ঘটনার ভিডিও করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ওই তরুণী। তবে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করায় আটক করা হয় ওই সংগঠনের সদস্যদের।
শুক্রবার এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মেরঠের একটি বাজারের কাছে গাছের তলায় বসেছিলেন ওই যুগল। প্রথমে তাদের বসে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কাছের এক দোকানদার। সেই সময়ে ঘটনা বেশিদূর গড়ায়নি। এর পর ঘটনাস্থলে আসে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা।
পুলিশের কাছে অভিযোগ ওই তরুণী জানিয়েছেন, তাদের উপর চড়াও হয় হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সদস্যরা। প্রথমে এসেই তাদের নাম জিজ্ঞাসা করে। তারা নিজেদের নাম বলার পরই স্পষ্ট হয় ধর্মপরিচয়। তখনই শুরু হয় অত্যাচার। প্রথমে মারধর করে তারা। তার পর তরুণীকে বলা হয় তার সঙ্গীর গালে জুতো দিয়ে মারতে। প্রথমে তিনি আলতো করে এক বার মারেন। কিন্তু তাতে শান্তি হয়নি ওই দলের। বারবার জোরে মারতে বলা হয়। তরুণীকে একাধিক বার জুতা মারতে বাধ্য করে ওই সংগঠনের সদস্যরা। এখানেই শেষ নয়, তারপরেও কান ধরে বসিয়ে রাখা হয় ওই যুবককে। শেষে মারতে মারতে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় থানায়।
কিন্তু তরুণী অভিযোগ করতে অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ওই পুরুষের সাথে তিনি নিজের ইচ্ছাতেই বসেছিলেন, এখানে কোনোরকম জোর করা হয়নি।’ ওই তরুণী অভিযোগ না করায় যুবককে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। শেষে অন্য একজনকে দিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করানো হয় মঞ্চের পক্ষ থেকে।
কিন্তু পুলিশ বুঝতে পারে, আসলে জোর করে সেই অভিযোগ দায়ের করানো হয়েছে। পাল্টা হিন্দু জাগরণ মঞ্চের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ওই তরুণী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন