বিষ প্রয়োগ করে মাছ ধরার অপরাধে সুন্দরবন থেকে তিন জেলেকে আটক করেছে বনরক্ষীরা। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি নৌকা, ২০ কেজি এবং রিফকড নামে এক বোতল কীটনাশক জব্দ করা হয়েছে। আটক তিন জেলেকে বন আইনে মামলা দিয়ে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে বনবিভাগ। এরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া গ্রামের সাজেদুল ইসলাম, রিপন হাওলাদার ও খুড়িয়াখালী গ্রামের জাফর তালুকদার। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে পূর্ব শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে বনরক্ষীরা।
এছাড়া, আরো পৃথক দুটি অভিযানে শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারণ্য ও চান্দেশ্বর এলাকা থেকে পাস বিহীন ১৪টি ইঞ্জিন চালিত ট্রলারসহ ১৭ জেলেকে আটক করা হয়। এসব ট্রলার ও জেলেদের জরিমানা করা হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সকাল এবং দুপুরে এই অভিযান চালায় বনবিভাগ।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (এসিএফ) মো. শামসুল আরেফীন জানান, শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোররাতে কটকা অভয়ারণ্য এলাকায় অনুপ্রবেশ এবং পাস না থাকার অপরাধে ৮টি ফিশিং ট্রলারসহ পাথরঘাটা এলাকার ৮ জেলেকে আটক করে বনরক্ষীরা। এসময় ট্রলারে থাকা আরো ১৫-১৬ জন জেলে লাফিয়ে পড়ে বনে পালিয়ে যায়। তাদেরকে খুঁজে বের করা চেষ্টা চলছে। আটক জেলে ও ট্রলারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সুপতি স্টেশনের আওতাধীন বনের একটি খালে বিষ দিয়ে মাছ ধরার সময় তিন জেলেকে হাতেনাতে আটক করে স্মার্ট টিমের সদস্যরা। এরা শরণখোলা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ী জালাল মোল্লার নৌকার জেলে। তাদের কাছ থেকে একটি ডিঙি নৌকা, ২০কেজি চিংড়ি ও এক বোতল কীটনাশক উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া, বনবিভাগের পাস না নিয়ে একইদিন দুপুরে চান্দশ্বর টহল ফাঁড়ির দরজার খালে অবৈধভাবে মাছ ধরার সময় ৬টি ট্রলারসহ পাথরঘাটার টেংরা এলাকার ৯ জেলেকে আটক করা হয়। এই ৯জেলেকে বন আইনের ৬৮ ধারা মোতাবেক ১লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে ছেড়ে দেওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন