বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে গতকাল রাতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে। এর নাম ‘গুলাব’। উর্দু ভাষায় 'গুলাব' মানে গোলাপফুল। এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নামটি পাকিস্তানের দেওয়া। গুলাবের গতিমুখ আপাতত ভারতের অন্ধ্র ও উড়িষ্যা উপকূলের দিকে।
আবহাওয়াবিদরা জানান, শেষ মুহূর্তে যদি গতিপথ পরিবর্তন না হয় তাহলে ঘূর্ণিঝড় গুলাব আজ রোববার বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে পারে। গুলাব খুব বেশি শক্তিশালী হওয়ার আশঙ্কা কম।
তবে গুলাবের সক্রিয় প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বিরাট এলাকাজুড়ে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ জানায়, আজ খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন স্থানে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। দক্ষিণাঞ্চলের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। বৃষ্টিপাত দেশের অনেক জায়গায় দুয়েক দিন চলতে পারে। গুলাবের সাথে মৌসুমী বায়ুও সক্রিয় হয়ে উঠছে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। উপকূলে দমকা হাওয়ার আশঙ্কায় চট্টগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিনে জানা গেছে, আজ রোববার সকালে ঘূর্ণিঝড় গুলাব উত্তর-পশ্চিম ও সংলগ্ন পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছিল। গুলাবের সর্বশেষ অবস্থান ছিল চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৬৬৫ থেকে ৪২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমে।। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় গুলাব উত্তর-পশ্চিম ও সংলগ্ন মধ্য বঙ্গোপসাগরে ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে সাড়ে তিনশ' কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬০ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এর আগে গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ভারতের উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা, চর ও দ্বীপাঞ্চলে অস্বাভাবিক জোয়ার ও জলোচ্ছ্বাসে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন