শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

বাকৃবি তৈরি করল কাচকি মাছের চানাচুর-বার

বাকৃবি সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ১২:০২ এএম

কাচকি দেশি প্রজাতির খুব ছোট এবং প্রায় স্বচ্ছ একটি মাছ। দেশের নদ-নদী, খাল-বিলে প্রচুর পরিমাণে এ মাছটি পাওয়া যায়। কিন্তু মাছের আকার ছোট এবং কাটাযুক্ত হওয়ায় ছোট বাচ্চাসহ অনেকেই এটি খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি উপাদান থাকলেও না খাওয়ার কারণে অনেকেই এ পুষ্টি উপাদানগুলো পান না।

তাই বিকল্প উপায়ে তাদের সেই পুষ্টি গ্রহণের জন্য কাচকি মাছের আলাদা চারটি মূল্য সংযোজক পণ্য তৈরি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের একদল গবেষক। পণ্যগুলো হলো কাচকি মাছের পিনাট (বাদাম) বার, সেসিমি (তিল) বার, পিনাট-সেসিমি বার এবং কাচকি মাছের চানাচুর। গতকাল সকালে গবেষণাটির প্রধান গবেষক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার এসব কথা জানান। গবেষণাটির সহযোগী গবেষক হিসেবে ছিলেন প্রভাষক মো. মোবারক হোসেন। সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে একটি প্রকল্পের আওতায় গবেষণাটি পরিচালনা করেন গবেষকবৃন্দ।
ড. মুহম্মদ নুরুল হায়দার বলেন, কাচকি মাছে শরীরের জন্যে প্রয়োজনীয় ক্যালসিয়াম, আমিষ ও ভিটামিন ‘এ’ বিদ্যমান। বর্তমানে এ মাছটির প্রচুর পরিমাণে আহরিত হচ্ছে। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাচকি মাছ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এ পুষ্টিসমৃদ্ধ মাছ খেতে শিশুসহ অনেকেই অনাগ্রহী। মাছের এ পুষ্টিগুলো তারা যেন পেয়ে যায় সেজন্যে আমরা এই ৪টি পণ্য উদ্ভাবন করেছি। এতে তারা এসব মুখরোচক খাবারের সাথে মাছের পুষ্টিও গ্রহণ করতে পারবে।

তিনি আরও জানান, তিল এবং বাদামের পণ্যগুলো তৈরি করা হয় বাদাম , মাছ, তিল এবং গুড়ের সমন্বয়ে। মাছ দিয়ে তৈরি এসব পণ্যে পরবর্তীতে মাছে কোনো গন্ধ থাকে না। জিপার ব্যাগে পণ্যগুলো ২ মাসের বেশি সময় পর্যন্ত ভালো থাকে।
পণ্যগুলোর বানিজ্যিক উৎপাদন এবং দাম সম্পর্কে তিনি বলেন, সাধারণ প্রাণের ২৫ গ্রামের যে পিনাট বার পাওয়া যায় তার দাম ১০ টাকা করে। তাই মাছের তৈরি বারের দাম ১৫-২০ টাকা করে হতে পারে। প্রতি কেজি মাছের তৈরি বার বিক্রি করে ব্যবসায়ীরা ৬০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। অন্যদিকে মাছের চানাচুরের দাম নির্ধারণ হবে মাছের পরিমাণের ওপর। চানাচুরে মাছের পরিমাণ যত বেশি হবে তার দামও ততো বেশি হবে। বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের জন্য আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Add
MD Khalilur Rahman ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৩ এএম says : 0
দেশে কাকচি মাছের শুটকির আকাল পড়ে যাবে। কারণ কোং গুলি চানাচুরের প্যাকেটে শুটকি ঢুকিয়ে "দারুণ বারবিকিউ " বলে চালিয়ে দিবে।
Total Reply(0)
Add
Enamul Hoque ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৪ এএম says : 0
বিরাট উপকার হইল!
Total Reply(0)
Add
Imrãñ Khãñ ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৪ এএম says : 0
এমনিতেই চানাচুর ডাল আর বেশন দিয়ে বানায় এতেই প্যাকেটে হাওয়ার অভাব নাই। কাচকি মাছ থাকলে তো পানি ই ভরে রেখে দিবে।
Total Reply(0)
Add
Rabeya Rahman ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৫ এএম says : 0
Kintu kachki mach ei sob diya kn khaite hbe... emnei ei mach tare val lage na
Total Reply(0)
Add
Monjur Mamun ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১, ৫:৪৫ এএম says : 0
শুটকির পায়েসও আবিষ্কার করবে কয়দিন পর
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ