বর্তমানে এই বিশ্বায়নের যুগে ‘নারীরা স্বাবলম্বী’ হওয়ার চেষ্টা করছে এ কথা বলার দিন ফুরিয়েছে। বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে মেয়েরা এখন পিছিয়ে নেইÑ এগিয়ে চলেছে সমান তালে। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও বিজ্ঞানের নানা শাখায় অবদান রেখে চলেছে। পিছিয়ে নেই এ প্রজন্মের ক্ষুদে নারীরাও তারই প্রমাণ মিলেছে সম্প্রতি শেষ হয়ে যাওয়া সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনুষ্ঠিত বার্ষিক বিজ্ঞান উৎসবে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের নানা প্রজেক্ট প্রদর্শনের মধ্যদিয়ে।
এ মেলা উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি, স্কুলের ফাউন্ডার প্রিন্সিপাল হামিদা আলী। বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্টি হয় উৎসবের আমেজ। চারপাশের সমস্যাগুলো দেখে এর বৈজ্ঞানিক সমাধান বের করার চেষ্টা করছে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বনানী শাখার শিক্ষার্থীরা। জনসংখ্যার অব্যাহত প্রবৃদ্ধি নিয়ে ভাবছে ৭ম শ্রেণীর তাসনিম তালেব (সরণি)। তাই সরণি বানিয়েছে ভাসমান নগরী এটি নদী/সাগরে ভাসবে। এতে অদূর ভবিষ্যতে বাড়তি জনসংখ্যার আবাসন হবে। অনাবাদি জমিতে চাষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করার পদ্ধতি দেখিয়েছে তারা। আরো অংশগ্রহণ করে ফারিহা খন্দকার, আনিকা হাসান প্রমুখ। প্রজেক্টের সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন শিপ্রা দাস। গত বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী চলেছে এই মেলা। বিজ্ঞান মেলায় মোট অর্ধশতাধিক প্রজেক্ট উপস্থাপন করা হয়। সাউথ পয়েন্ট স্কুলের বনানী শাখার প্রিন্সিপাল মো. মতিউর রহমান বলেন, চলমান সমস্যা নিয়ে শিক্ষার্থীরা ভাবছে। তারা নিজেদের মতো করে সমস্যাগুলোর সমাধান চিন্তা করছে। এর মাধ্যমে সমাজ অর্থনীতি বিষয়ে তাদের ভেতর এক ধরনের চেতনার সৃষ্টি হচ্ছে।
য় আঞ্জুমান আরা
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন