রাজশাহী মহানগরীতে অপহরণের শিকার এক কলেজছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. পারভেজ হোসেন তালুকদার রুহান (১৯) নামের এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত রুহান পিরোজপুর জেলার কাউখালী থানার কেউন্দিয়া গ্রামের মো. হুমায়ূন কবিরের ছেলে।
রবিবার বিকেলে পুলিশ সূত্র জানান হয়, সোনিয়া (ছদ্মনাম) (১৯) নামের রাজশাহী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী গত ২৫ সেপ্টেম্বর কলেজে নোট আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পিতা নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। উক্ত নিখোঁজ জিডির পরিপ্রেক্ষিতে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুল ইসলাম এবং সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহকারী পুলিশ কমিশনার উৎপল কুমার চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট এবং কাশিয়াডাঙ্গা থানা পুলিশ নিখোঁজ কলেজছাত্রীকে উদ্ধারে অভিযানে নামে। সাইবার ক্রাইম ইউনিট তথ্য বিশ্লেষণে জানতে পারে-ভুক্তভোগী সোনিয়াকে অপহরণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে গত শনিবার (০২ অক্টোবর) পটুয়াখালী জেলার দুমকি থানার পাংগাশিয়া এলাকা হতে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সার্বিক সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জীবন চন্দ্র বর্মন ও সাইবাই ক্রাইম ইউনিটের এএসআই মো. সাইফুল ইসলামসহ কাশিয়াডাঙ্গা থানার বিশেষ টিম যৌথ অভিযান পরিচালনা করে আসামী পারভেজ হোসেন তালুকদার রুহানকে গ্রেপ্তার করে এবং নিখোঁজ সোনিয়াকে উদ্ধার করে।
উদ্ধার হওয়া ভুক্তভোগী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০ টায় নগরীর হড়গ্রাম কোর্ট স্টেশন মোড় হতে আসামী পারভেজ হোসেন তালুকদার রুহান বিয়ের প্রলোভন দিয়ে তাকে অপরহরণ করে নিয়ে যায়। কিন্তু পরে আর তাকে বিয়ে করেনি।
নগর পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, গ্রেপ্তারকৃত আসামির বিরুদ্ধে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। আর উদ্ধার হওয়া কলেজছাত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন