রংপুরে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগে মেহেদী হাসান রাব্বী (২২) নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
বুধবার (৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ যাবিদ হোসেন এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন এক শিক্ষা কর্মকর্তা নগরীর ধাপ শ্যামলী লেন এলাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। তার বড় মেয়ে নগরীর একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবম শ্রেণিতে পড়তেন। স্কুলে যাওয়া আসার পথে ওই স্কুলছাত্রীকে প্রতিবেশী লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পূর্ব সারডুবি গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মেহেদী হাসান রাব্বী প্রেমের প্রস্তাব দিতেন। এক পর্যায়ে আসামি ২০১৮ সালের ৭ জুলাই ওই শিক্ষার্থীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে ১০ জুলাই রংপুর কোতোয়ালি থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অনুসন্ধান চালিয়ে ঘটনার সাতদিন পর ঢাকার আশুলিয়া থেকে অপহরণকারীসহ ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে।
প্রায় ৩ বছর আদালতে বিচারাধীন থাকার পর বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে অপহরণের অভিযোগে আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে ১৪ বছর এবং ধর্ষণের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন বিচারক। একই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের জেল দেয়া হয়।
অপর চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের পিপি খন্দকার রফিক হাসনাইন জানিয়েছেন, ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরহণ ও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত মামলার মূল আসামি মেহেদী হাসান রাব্বীকে দুটি অপরাধে ১৪ বছর ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পলাতক রয়েছেন। যেদিন গ্রেফতার হবেন সেদিন থেকে রায় কার্যকর হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন