শনিবার, ২৫ মে ২০২৪, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

শাহরুখ-পুত্রকে আটক করতে গিয়েছিলেন বিজেপির সদস্যরাও : নবাব মালিক

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:০৮ পিএম

মাদককাণ্ডে গ্রেফতার শাহরুখ খানের বড়ছেলে আরিয়ান খান বর্তমানে নার্কোটিকস কনট্রোল ব্যুরোর হেফাজতে রয়েছে। কবে নাগাদ জামিন মিলবে সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ ঘটনা নাড়া দিয়েছে বলিউডসহ পুরো ভারতে। দেশটির রাজনৈতিক নেতারাও আরিয়ানের গ্রেফতার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। -হিন্দুস্তান টাইমস

মাদককাণ্ডে আরিয়ানকে গ্রেফতারের পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন উদ্ধব সরকারের মন্ত্রী ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র নবাব মালিক। তিনি বলেছেন, বিজেপি এবং এনসিবির যোগসাজশের জেরেই আটক হয়েছেন শাহরুখ-পুত্র। মহারাষ্ট্র সরকার, বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির ভাবমূর্তি নষ্ট করতেই এই চক্রান্ত করা হয়েছে। যদিও নবাব মালিকের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে এনসিবি এবং বিজেপি। বলা হচ্ছে, আরিয়ান-আরবাজকে ওই রাতে এনসিবির অফিসে যে দু’জন ধরে এনেছিল তাদের মধ্যে একজন বিজেপি সমর্থক মণীশ ভানুশালি, অপরজন কেপি গোসাই। গোসাই নিজেকে ব্যক্তিগত ডিটেকটিভ বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে নিজের বক্তব্যের সমর্থনে ভিডিও ক্লিপিংও তুলে ধরেন নবাব মালিক। যেখানে দেখা যাচ্ছে, কেপি গোসাই আরিয়ান খানকে অফিসে ঢোকাচ্ছেন, অন্যদিকে মণীশ ভানুশালি আরিয়ানের বন্ধুকে এনসিবির অফিসে নিয়ে যাচ্ছেন।

উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে গোয়াগামী এক প্রমোদতরী থেকে কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার হাতে আটক হন শাহরুখ খান পুত্র আরিয়ান খান ও তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আরবাজ মার্চেন্ট। এই ঘটনা নিয়ে গত কয়েকদিনে উত্তাল গোটা ভারত। বুধবার ফের নতুন মোড় নিল এই হাইপ্রোফাইল মামলা। আরিয়ানের গ্রেফতারি নিয়ে এবার রাজনৈতিকভাবে দোষারোপ শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। ঘটনার দিন গভীর রাতে আরিয়ান ও আরবাজকে এসকর্ট করে এনসিবির ব্যালাড এস্টেট-এর (মুম্বাইয়ের কার্যলয়) অফিসে নিয়ে আসা দুই ব্যক্তির পরিচয় ফাঁস হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তারা দুজন এনসিবির কর্মকর্তা নন, বরং একজন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালি, অপরজন কেপি গোসাই। মালিক আরও যোগ করেন, ভানুশালির ফেসবুকের দেওয়ালে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে তিনি বিজেপির ভাইস প্রেসিডেন্ট। বিজেপির সকল সিনিয়র নেতার সঙ্গে তার ছবি জ্বলজ্বল করছে ফেসবুকে। তার অভিযোগ বিজেপির ইশারাতেই কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা এই কাণ্ড ঘটিয়েছে। এই পুরো বিষয়টা শুরু হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পরবর্তী সময়ে। ড্রাগসের জন্য সুশান্তকে হত্যা করা হয়েছে, এমন সব সাজানো গল্প ফাঁদা হয়েছে। তারপর থেকে চর্চায় এনসিবির জোনাল অফিস’।

মহা বিকাশ আঘারি জোট সরকারের মন্ত্রীর এই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এনসিবি। নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে জানান, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। সাংবাদিক বৈঠকে এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জ্ঞানেশ্বর সিং জানান, সবরকম আইনি প্রক্রিয়া মেনেই ওই অপারেশন চালানো হয়েছিল। ওই ঘটনার ৯ জন সাক্ষী রয়েছেন, সেই তালিকাতে নাম রয়েছে মনীশ ভানুশালি ও কিরন গোসাই-এর। অন্যদিকে বিজেপি এই মামলায় পালটা অভিযোগের আঙুল তুলল এনসিপি-র দিকেই। বিজেপির মুখপাত্র কেশব উপাধ্যায় প্রশ্ন করেন, ‘এনসিপি আগে বলুক তাঁরা কি ড্রাগ মাফিয়াদের সমর্থক বা তাদের বিরুদ্ধে কোনও অ্যাকশন নেওয়া হলে ওদের সমস্যা রয়েছে?’ সঙ্গে তিনি এও দাবি করেন বিজেপির প্রবীন নেতাদের সঙ্গে ছবি থাকলেই কেউ বিজেপি নেতা হয় না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৩ পিএম says : 0
মুসলমান হওয়ার কারনে এই অত্যাচার অবিচার আর কিছু নয়।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৭ অক্টোবর, ২০২১, ৭:১৪ পিএম says : 0
মুসলমান হওয়ার কারনে এই অত্যাচার অবিচার আর কিছু নয়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন