হল খোলার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ডিনস কমিটি ও একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভা শেষে সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) প্রফেসর মুহাম্মদ সামাদ বলেন, ১৬ তারিখে সশরীরে ক্লাস শুরুর কথা বলা হয়েছিল আগে, ওইদিন শনিবার হওয়ায় ১৭ অক্টোবর থেকে সশরীরে ক্লাস ও পরীক্ষা শুরু হবে। ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস শুরু ১৬ অক্টোবর, এর আগে সবার জন্য খুলবে হল। এই সিদ্ধান্তের ফলে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দেড় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শ্রেণিকক্ষে ফিরবে।
সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থীর অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে নিজ নিজ শিক্ষার্থীদের প্রতি বিশেষ তদারকি জোরদার করার জন্য সকল বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অন্তত এক ডোজ টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করে আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে পাঠদান ও পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ইতোপূর্বে একাডেমিক কাউন্সিল প্রণীত ‘লস রিকোভারি প্ল্যান’ অনুসৃত হবে। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন ও অফলাইন সমন্বয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে ন্যূনতম ৬০ ভাগ ক্লাস সশরীরে নিতে হবে। সশরীরে ক্লাসের পাশাপাশি কোনো বিভাগ বা ইনস্টিটিউট চাইলে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ ক্লাস অনলাইনেও নিতে পারবে।
প্রফেসর সামাদ বলেন, আমরা চাইব ১০০ ভাগ ক্লাসই সশরীরে হোক, তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এসব ক্লাস ও পরীক্ষা নিতে হবে। যেসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি, তাদের সেকশন করে ক্লাস নিতে হবে। অর্থাৎ একদিন জোড় রোল, অন্যদিন বিজোড় রোলের শিক্ষার্থীদের ক্লাস হবে। আর এটা বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের প্রধানরা নির্ধারণ করবেন। ১০ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় ধাপে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের হলে উঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন