পরবর্তী সিদ্ধান্ত আসার আগ পর্যন্ত বায়তুল মোকাররম মার্কেটসহ খোলা বাজারে পবিত্র জমজম কুপের পানি বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) এ.এইচ.এম. সফিকুজ্জামান।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) সকালে অধিদপ্তরের সভাকক্ষে এক মতবিনিময় শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুজ্জামান এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
এ বিষয় তিনি সাংবাদিকদের জানান, জমজমের পানি বিক্রি নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, “আমার মতে, অবৈধভাবে জমজমের পানি বিক্রি হচ্ছে এবং এটাকে এখানে বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়েছে। এখন এ নিয়ে করণীয় নির্ধারণ করবে মার্কেট কমিটি। তারা আগামী বুধবারের মধ্যে আমাদের জানাবেন যে, এ বিষয়ে কী করা যায়। তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। জমজমের পানি বিক্রি আপাতত বন্ধ থাকবে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সেখানে কাজ করবে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কেউ বিক্রি করলে, প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা মালিক সমিতি ও ব্যবসায়ীদের লিখিত মতামত নেবো। তারপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। বিশ্বাসের কথা বলে জমজমের পানি বিক্রি করা যাবে না, উৎস জানতে হবে।”
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “আমার যতটুকু ধারণা, ছোট বোতল এখানেই রিফিল হয়। আমরা গোয়েন্দা সংস্থাকে এই বিষয়ে কাজে লাগাবো। যেখানেই তথ্য পাবো সেখানেই অভিযান চালাবো। আমার মনে হয় এটি করা দরকার, কারণ একটা দেশের ভাবমূর্তির বিষয় এটা। আর ভোক্তার সঙ্গে প্রতারণার বিষয় তো আছেই।”
এদিকে, জমজম পানির ব্যবসায়ীরা জানান, হজ বা ওমরাহ করে দেশে ফেরার সময় হাজিরা জমজমের পানি নিয়ে আসেন। তারা চাহিদার থেকে অতিরিক্ত পানি নিয়ে আসেন। সেগুলো মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন।
এই পানি আসল নাকি নকল- সে বিষয়ে বিক্রেতাদের কোনো ধারণা নেই। বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে এসব পানি কেনাবেচা করছেন বলে জানান তারা।
এই পানি বিক্রির বৈধতার বিষয়ে ব্যবসায়ীরা জানান, বাংলাদেশে জমজম কূপের পানি বৈধভাবে কেউ আমদানি করে না। হাজিরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন। হাজিদের কাছ থেকে কিনে খুচরা বিক্রি করা হয়। চাহিদা থাকায় বেশ ভালো দামে বিক্রি হয় “জমজমের পানি”।
মন্তব্য করুন