শরীয়তপুরের নড়িয়ায় টেন্ডারের মাধ্যমে একবার গাছ ক্রয় করে তিন বারে টেন্ডারের তিনগুণের বেশি গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এতে সামাজিক বনায়নসহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাজস্ব। অভিযোগের সত্যতা মিলেছে ঠিকাদারের সাথে কথা বলে। এই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুরেশ্বর-ঘড়িসার সড়ক নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ দরপত্র আহবান করে ঠিকাদার নিয়োগ করে। রাস্তার কাজ শুরু করতে গিয়ে রাস্তার দু’পাশে গাছ থাকায় নির্মাণ কাজ বাধাগ্রস্ত হয়। পরবর্তীতে রাস্তার দু’পাশের ১৭১টি গাছ চিহ্নিত করে টেন্ডারের মাধ্যমে বিক্রি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন উপজেলা প্রশাসন। রাস্তার ঠিকাদার জাফর শেখ গাছ ক্রয় করেন। প্রথম পর্যায়ে চিহ্নিত ১৭১টি গাছ কেটে নেয় ঠিকাদার।
সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়ভাবে জানা যায়, নির্ধারিত গাছ কাটার পরে রাস্তা থেকে ৬ ফুট দূরত্বের চিহ্নহীন আরো প্রায় ২ শতাধিক গাছ কেটে নিয়েছে ঠিকাদার। গতকাল শনিবার রাস্তার এজিন থেকে ৬ ফুট দূরের গাছ কাটতে দেখে বিষয়টি ঠিকাদার বাদশা শেখকে জানানো হয়। তাৎক্ষণিক শ্রমিকদের গাছ কাটা বন্ধ করে দেয় ঠিকাদার। চিহ্নহীন গাছ কাটার বিষয়ে শ্রমিকদের দায়ী করে ঠিকাদার বাদশা শেখ বলেন, অতিরিক্ত গাছ কেটে থাকলে তার দায়দায়িত্ব শ্রমিকদের। অতিরিক্ত সুবিধা শ্রমিকরাই ভোগ করেছে।
স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী আলি হোসেন মাঝি জানান, প্রথম পর্যায়ে তিনি ঠিকাদার বাদশা শেখের কাছ থেকে ২৩০টি এবং পরবর্তীতে ৭৩টিসহ মোট ৩০৩টি গাছ ক্রয় করেছেন। অপর ব্যবসায়ী মনির হোসেন মৃধা জানায়, তিনি ১২০টি গাছ ক্রয় করে তা পূর্বেই কেটে নিয়েছেন। গতকাল চিহ্নহীন আরো কিছু গাছ কাটা শুরু করলে সাংবাদিকরা এসে ভিডিও করে ছবি তোলে। বিষয়টি ঠিকাদার জাফর শেখকে জানালে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বলে।
এলজিইডি’র নড়িয়া উপজেলা প্রকৌশলী শাহাবুদ্দিন বলেন, গাছ লাগিয়েছে গণ উন্নয়ন প্রচেষ্টা। টেন্ডার করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ বিষয়ে আমার কিছুই বলার নাই। নড়িয়া উপজেরা নির্বাহী অফিসার শেখ রাশেদ উজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে আমার কাছেও একটা অভিযোগ এসেছে। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন