বগুড়ার শিবগঞ্জ পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ১৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প কৌশলী ঃ প্রক্রিয়া মাধ্যমে কার্যত একটি সিণ্ডিকেট ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার পৌরসভার ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত একটি টেণ্ডার খুবই অল্প প্রচার সংখ্যার বাংলা দৈনিক ও অপরিচিত একটি ইংরেজী দৈনিকে মোট ১৯টি গ্রুপে টেণ্ডার আহ্বান করা হয়। টেণ্ডার আহ্বানের ক্ষেত্রে ইজিপি সিস্টেমও ফলো করা হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট সিণ্ডিকেটের বাইরে কারো পক্ষেই তা’ জানা সম্ভব হয়নি। এরপর যারা প্রাপ্ত কাজের বিপরীতে ২০শতাংশ হারে নগদ অর্থ সিণ্ডিকেটকে দিতে রাজী হয়েছে তাদের কাছেই কেবল শিডিউল বিক্রি করা হয়েছে। গত সোমবার (৪ মার্চ) শিডিউল ওপেন করার পরে দেখা গেছে, ১৯টি গ্রুপের বিপরীতে মোট ৫৭টি শিডিউল জমা পড়েছে। যার সোজা অর্থ হল নিয়ম রক্ষার জন্যই কেবল প্রতিটি গ্রুপের বিপরীতে যাকে কাজ দেওয়া হবে তার স্বপক্ষে সাপোর্টিং টেণ্ডার জমা করা হয়েছে ।
তবে শিবগঞ্জ পৌর মেয়র মেয়র তৌহিদুর রহমান মানিক ও পৌরসভার সহকারি প্রকৌশলী রাশেদ হাসান টেণ্ডার কার্যক্রমে কোন অনিয়ম বা সিণ্ডিকেট করার কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ডিএফপি অনুমোদিত পত্রিকাতেই টেণ্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। আর ইজিপি টেণ্ডারিং বাধ্যতামূলক নয়।
তবে ওই পৌরসভার নিবন্ধিত ঠিকাদারদের মধ্যে যারা টেণ্ডারে অংশ নেওয়ার সুযোগই পাননি তারা বলেছেন আপডেট টেণ্ডার আইন অনুযায়ী সব সরকারি টেণ্ডারই ইজিপি করতে হয়। আর বহুল প্রচারিত স্থানীয় একটি ও জাতীয় দুটি (ইংরেজি ১টি ও বাংলা ১টি) পত্রিকায় টেণ্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করাও বাধ্যতামূলক। সেকারণেই তারা ঘোষিত টেণ্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করে অবিলম্বে রিটাণ্ডের করার জন্য স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন