বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পরীমণির স্থায়ী জামিন

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় পরীমণিসহ তিনজনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বেলা দেড়টার পর পরীমণি আদালতে হাজির হন।
শুনানিতে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া পর্যন্ত এই মামলায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তিনি জামিনের কোনো অপব্যবহার করেননি। তাই আবার তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করা হোক।
পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতে বলেন, আগে থেকে এই মামলায় শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য ছিল। সাধারণত সকাল ১০টায় প্রত্যেক আসামির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পরীমণির বেলা একটা পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি।
আইন সবার জন্য সমান মন্তব্য করে আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, আমরা দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে আসছি। তখনও আসামি আসেননি। আদালতের প্রতি তিনি অসম্মান দেখিয়েছেন। যখন খুশি তখন আদালতে আসলাম। এটা মামাবাড়ির আবদার না। আদালতে আসতে ৫-১০ মিনিট লেট হতে পারে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেট হবে এটা মানা যায় না। এখানে কেউ অসাধারণ বা সাধারণ না। সবাই সমান। এটা সবার মনে রাখতে হবে। প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে হাজির হতে হবে। আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। পরীমণির কাছ থেকে বিদেশি মদসহ ভয়ংকর রকমের মাদক এলএসডি-আইস পাওয়া গেছে। পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করছেন তিনি।
পিপির বক্তব্যের পর পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা আদালতে বলেন, স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দেন। শুনানির সময় ছয়তলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন পরীমণি। শুনানির শেষ পর্যায়ে আদালত কক্ষে এজলাসের ভেতরেও শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। পরে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ভিড় সরিয়ে তাকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। মাদকের মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। দুজনই পরীমণির পরিচিত ব্যক্তি। পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
পরীমণির আইনজীবী আদালতে বললেন, স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না
বিশেষ সংবাদদাতা : মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার এ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় পরীমণিসহ তিনজনের স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বেলা দেড়টার পর পরীমণি আদালতে হাজির হন।
শুনানিতে পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া পর্যন্ত এই মামলায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেছিলেন আদালত। তিনি জামিনের কোনো অপব্যবহার করেননি। তাই আবার তার স্থায়ী জামিন মঞ্জুর করা হোক।
পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আবদুল্লাহ আবু। তিনি আদালতে বলেন, আগে থেকে এই মামলায় শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য ছিল। সাধারণত সকাল ১০টায় প্রত্যেক আসামির আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু আসামি পরীমণির বেলা একটা পর্যন্ত আদালতে হাজির হননি।
আইন সবার জন্য সমান মন্তব্য করে আদালতে পিপি আবদুল্লাহ আবু বলেন, আমরা দুপুর সাড়ে ১২টায় আদালতে আসছি। তখনও আসামি আসেননি। আদালতের প্রতি তিনি অসম্মান দেখিয়েছেন। যখন খুশি তখন আদালতে আসলাম। এটা মামাবাড়ির আবদার না। আদালতে আসতে ৫-১০ মিনিট লেট হতে পারে। কিন্তু ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেট হবে এটা মানা যায় না। এখানে কেউ অসাধারণ বা সাধারণ না। সবাই সমান। এটা সবার মনে রাখতে হবে। প্রত্যেককে আইন মেনে চলতে হবে। আদালতে সঠিক সময়ে হাজির হতে হবে। আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। পরীমণির কাছ থেকে বিদেশি মদসহ ভয়ংকর রকমের মাদক এলএসডি-আইস পাওয়া গেছে। পরীমণির জামিনের বিরোধিতা করছেন তিনি।
পিপির বক্তব্যের পর পরীমণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা আদালতে বলেন, স্যার, এ রকম ভুল আর হবে না। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে মামলাটি বিচারিক আদালতে বদলির আদেশ দেন। শুনানির সময় ছয়তলা সিঁড়ি বেয়ে উঠতে গিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন পরীমণি। শুনানির শেষ পর্যায়ে আদালত কক্ষে এজলাসের ভেতরেও শুয়ে থাকতে দেখা যায় তাকে। পরে কর্মরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সহায়তায় ভিড় সরিয়ে তাকে গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। পরে তাকে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গত ৩১ আগস্ট ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগপর্যন্ত পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন। মাদকের মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় ৪ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় সিআইডি। অপর দুই অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হলেন-আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। দুজনই পরীমণির পরিচিত ব্যক্তি। পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন