তালেবান সম্পর্কে আলোচনা করার পূর্বে আমাদের ফিরে যেতে হবে চার দশক আগের স্নায়ুযুদ্ধের যুগে। সত্তর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গৃহযুদ্ধের অজুহাতে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান দখল করে নেয়। সোভিয়েত ইউনিয়নের দখল আফগান জনগণ মেনে নিতে পারেনি। আফগানিস্তানে সোভিয়েত বাহিনীর দখলদারিত্বের প্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে জন্ম হয় আফগান মুজাহেদীনের। সোভিয়েতের বিদায়ের পর গৃহযুদ্ধ প্রতিরোধের মধ্যে দিয়ে মুজাহিদীন থেকে জন্ম হয় তালেবানের। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৪ সালের গৃহযুদ্ধের মাঝেই তালেবানের সৃষ্টি হয়েছিল। মোল্লা ওমর রহিমাহুল্লাহর নেতৃত্বে তালেবান ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তানের প্রায় ৯৫ শতাংশ এলাকা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা শুরু করে। মাতৃভূমি, স্বাধীনতা ও ধর্মের প্রতি অবিচল বিশ্বাস, ভালবাসার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেও মুসলিমবিশ্ব তালেবানকে আপন চশমায় না দেখে পশ্চিমাদের চশমায় দেখতে আগ্রহী। পশ্চিমাদের শেখানো বুলিই না বুঝে আওড়িয়ে যায়। ইসলামবিদ্বেষী মিডিয়াকে বিশ্বাস করে, সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীদের তথ্যসন্ত্রাস ও অপপ্রচারে মুসলিমবিশ্ব আজ বিভ্রান্ত ও বিভক্ত! তাইতো তারা প্রকৃত সত্য জানতে, বুঝতে ও উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হচ্ছে। প্রতিনিয়ত জঙ্গিবাদের জিগির চলছে। অথচ, এর প্রকৃত সংজ্ঞা তারা জানে না এবং কারণ অনুসন্ধান করে না। বাস্তবতা হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদী ও আধিপত্যবাদীরাই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জন্মদাতা।
বিশ্বে যেখানেই আধিপত্যবাদ, সেখানেই প্রতিবাদ। আর যেখানেই প্রতিবাদ, সেখানেই তথাকথিত জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের জিগির; আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ও কাশ্মির তার জ্বলন্ত উদাহারণ। ৯/১১ এর হামলা বিশ্বের ইতিহাসে ঘৃণিত ও কলঙ্কিত অধ্যায়। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছিল তার কোনো প্রমাণ কী যুক্তরাষ্ট্র আজ পর্যন্ত উপস্থাপন করেছে? এ নিয়ে কেনো এতো লুকোচুরি? অনুমান নির্ভর হয়ে একজন ব্যক্তির জন্য একটি রাষ্ট্রকে ধ্বংস করা কতটুকু যুক্তিযুক্ত ও মানবিক হয়েছে? পরাশক্তিগুলোর মোড়ালীপনা ও কর্তৃত্ববাদ কী সন্ত্রাসবাদের সংজ্ঞায় পড়ে না? বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ও গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করেছে আইএস সিআইএ ও মোসাদ কর্তৃক সৃষ্টি। আর এ বাহিনী সৃষ্টির উদ্দেশ্য হলো পশ্চিমাবিশ্ব, ইসরাইল ও ভারতের স্বার্থ সংরক্ষণ করা। তাইতো কাবুল বিমান বন্দরে ভয়ংকর আত্মঘাতী হামলার অগ্রিম সংবাদ বেনেট, বাইডেন ও জনসন প্রশাসন থেকে আসে। আজ দিবালোকের মতো পরিষ্কার, জঙ্গি সংগঠন আইএস কার।
বর্তমান বাস্তবতা হচ্ছে দখলদাররা শত চেষ্টা করেও স্বাধীনচেতা আফগান জাতিকে পরাধীনতার শেখলে আবদ্ধ করে রাখতে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশিদের কবরস্থান খ্যাত আফগানিস্তানে শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, রাশিয়া ও বৃটিশ কোনো বিদেশিশক্তির পক্ষেই জোর করে দখলদারিত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। স্বাধীনতার চেতনা, দেশপ্রেমের অনুপ্রেরণা ও ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান প্রকৃত দেশপ্রেমিক তালেবান মুক্তিযোদ্ধারা তাদের প্রিয় মাতৃভূমি থেকে দখলদারদের বিতাড়িত করে তাকে স্বাধীন করেছে। দেশপ্রেম, স্বাধীনতা ও বীরত্বের পরীক্ষায় বিশ্ববাসীকে অবাক করে দিয়ে পাশ্চাত্যের সকল হিসাব-নিকাশ, জল্পনা-কল্পনা ও অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে, পরাশক্তিসমূহকে পরাভূত করে, বিনা যুদ্ধে কাবুল বিজয় করে বিশ্বে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে। তালেবানের বিগত আমলে আর যাই হোক রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে অনিয়ম, অবিচার, ঘুষ ও দুর্নীতি ছিল না। ফলে রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় ছিল। তালেবানের জনসমর্থন বৃদ্ধি পাওয়ার এটি অন্যতম কারণ। এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়, স্থানীয় জনসমর্থন ব্যতিত বিনা রক্তপাতে ঝড়ের গতিতে একের পর এক প্রদেশ নিয়ন্ত্রণ ও বিনা যুদ্ধে কাবুল বিজয়, অসম্ভব বিষয়। উল্লেখ্য, বেসামরিক ও নিরাপরাধ জনগণকে হত্যা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিস-আদালতে চোরাগোপ্তা হামলা, জনাকীর্ণ স্থানে আত্মঘাতী বোমা হামলাসহ যেসব ভয়ংকর ও অমানবিক অপরাধ বিগত বছরগুলোতে সংঘটিত হয়েছে তার অধিকাংশই জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস ও বিদেশি দখলদারদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে। তালেবানের বিরুদ্ধে কট্টরপন্থা ও অমানবিক কর্মকান্ডের যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তার বেশিরভাগই তালেবান বিরোধীদের অপপ্রচার। অতএব, তালেবান মুক্তিযোদ্ধাদের জঙ্গি গোষ্ঠীর সাথে তুলনা করার কোনো সুযোগ নেই।
তালেবানের বিজয়ে চরম নাখোশ ও হতাশ হয়েছে মুসলিমবিদ্বেষী অপশক্তি ও ইসলামের শত্রুরা। তাইতো তারা অনবরত তালেবান বিরোধী প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে ভীতি ও আতংক। এক্ষেত্রে ভারতীয় মিডিয়ার ভূমিকা অগ্রগামী ও দৃষ্টিকটু। বিশ্বনেতৃবৃন্দ তালেবান সরকারের পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নানামত ব্যক্ত করছেন। জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পান্ডে বলেছেন, ‘আফগানিস্তান একটি কবরে পরিণত হয়েছে, পুরো দেশটিতে মানবিক সংকট চরম আকার ধারণ করেছে’। চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফগানিস্তানের উপর চাপ সৃষ্টি থেকে বিরত থাকার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বিশ্বকে অবশ্যই আফগানিস্তানকে সহায়তা করতে হবে’। জাতিসংঘের মহাসচিব বলেছেন, ‘তালেবানের নেতৃত্ব স্পষ্ট হলে তিনি দলটির সাথে আলোচনায় প্রস্তুত রয়েছেন’। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘তালেবান আফগানিস্তান মোটামুটি দখল করেই নিয়েছে এটিই বাস্তবতা। তাই নিজেদের মতামত আফগানিস্তানের উপর চাপিয়ে দেয়া উচিত নয়’। ইইউ প্রধান বোরেল বলেছেন, ‘এখন তালেবানের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা ছাড়া এই জোটের সামনে বিকল্প কোনো পথ নেই’। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি জাতিসংঘের ভাষণে বিশ্ব নেতাদের সামনে আফগানিস্তানের পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি বয়কট না করে তালেবানের সঙ্গে সম্পৃক্ত হতে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহবান জানান। জি-৭ জোট নেতারা বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক ইস্যুতে নমনীয়তা ও নারী অধিকারকে স্বীকৃতি দিলেই তালেবানকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে’। যারা বিশ্বাস করে, মায়ের জাতির পায়ের নিচে জান্নাত তারা কী মায়ের জাতিকে কখনো অসম্মান করতে পারে? ইসলাম নারীকে সমানাধিকার নয় বরং অগ্রাধিকার দিয়েছে। বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি। ইসলাম মহান রবের দেয়া বিধান। আল্লাহ যেমন মহান ও অদ্বিতীয় তার দেয়া বিধানও তেমনি শ্রেষ্ঠ ও পারফেক্ট।
যুক্তরাজ্যের কাছ থেকে আফগানিস্তান স্বাধীনতা লাভ করে ১৯১৯ সালে। এরই মধ্যে ১০০ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশটিতে জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকার কখনো দেখা যায়নি। আর বিগত চার দশক ধরে চলেছে চরম নৈরাজ্য ও গৃহবিবাদ। প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন রাজা-বাদশা ও বিদেশি শক্তিই অদ্যাবধি দেশটিকে পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করেছে। বিভিন্ন গোত্র ও জাতিগোষ্ঠীর পছন্দমাফিক প্রতিনিধিরা বিভিন্ন সময়ে সেখানে ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে মাত্র। আর গত ২০ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এ মুহূর্তে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি দেখছেন অনেকটাই পশ্চিমাদের রপ্তানি করা চশমায়। পাশ্চাত্যের চোখে। ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষপাতদুষ্ট দৃষ্টিতে। নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আফগান সমাজ ও সেখানকার জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সংস্কৃতি তাদের আলোচনায় স্থান পায় না। অন্যথায় এ আলোচনা বারবার ঘুরেফিরে কেনো আসবে যে, মার্কিন সৈন্য চলে গেলে আফগানিস্তান আবারও গৃহযুদ্ধের মধ্যে পড়ে যাবে? ভাবটা এমন যেন মার্কিন বাহিনী থেকে গেলেই আফগানিস্তান রক্ষা পেত। কিন্তু দেশটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য সম্পর্কে যারা জানেন, তারা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবেন কী আফগানিস্তানে গোত্রে গোত্রে বিবাদ কবে ছিল না? সেটি ১৯৯৬ সালে তালেবানের ক্ষমতা দখলের আগেও ছিল, গত বিশ বছর ধরেও ছিল, এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকাটা স্বাভাবিক, যদি না বিশ্বসম্প্রদায়, সাম্রাজ্যবাদীশক্তি ও আধিপত্যবাদীরা দেশটিকে নিয়ে তাদের ষড়যন্ত্র, রাজনীতি ও স্বার্থের খেলা বন্ধ করে। দোহায় আমেরিকার সাথে চুক্তি হওয়ার পর এ পর্যন্ত তালেবান দৃশ্যত তার শর্ত রক্ষা করে চলেছে। তারা স্বাক্ষরিত চুক্তির শর্ত অনুযায়ী একবারও মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলা চালায়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বিভিন্ন দেশে লড়াই অব্যাহত রেখেছে। মার্কিনিদের পছন্দের সরকার ক্ষমতায় বসাতে তাদের গোয়েন্দা বাহিনী দিয়ে দেশে দেশে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটানো ছাড়াও বিশেষ বাহিনীর মাধ্যমে গোপন অভিযান চালিয়ে মোড়ালীপনা ও আধিপত্যবাদ বজায় রেখেছে। আধিপত্যবাদী লড়াইয়ের এ মিশনে ১৯৪৫ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৭৬ বছরে পরাশক্তি এই দেশটির হাতে নিহত হয়েছে প্রায় ৩ কোটি বেসামরিক লোক। তাদের হাতে এত লোক মারা যাওয়ার পরও তারা সন্ত্রাসী ও জঙ্গি হয় না। পক্ষান্তরে রাষ্ট্রীয় বৈষম্য, অবিচার, জুলুম ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং নিজ দেশকে দখলদারমুক্ত করতে যারা প্রাণপণ লড়ে যায়, তারাই পাশ্চাত্য ও তথাকথিত সেকুলারদের চশমায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসী! পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মুসলিমবিশ্বের তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীরাও নিজেদের বিবেক বন্ধক রেখে এবং চোখ বন্ধ করে ইসলাম বিদ্বেষী মিডিয়া ও পশ্চিমাদের চশমায় ইসলাম ও মুসলিমবিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করছে।
তালেবান আফগানিস্তান হানাদারমুক্ত করেছে। দেশকে স্বাধীন করেছে। বিজয় অর্জন করেছে। তারা স্বীয় মতাদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে, এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে বাইরের হস্তক্ষেপ অনাধিকার চর্চার শামিল। বর্তমান বিশ্বে মানব রচিত অনেক তন্ত্র-মন্ত্র বিদ্যমান। তবে এ কথা চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলা যায়, মহান রবের দেয়া বিধান তথা শরীয়ত, নবীজির (সা.) দেখানো খেলাফত এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের শুরায়ী নেজামের মোকাবেলায় এসব তন্ত্র-মন্ত্র অন্তঃসারশূন্য। বর্তমানে গণতন্ত্রের নামে অধিকাংশ দেশে চলছে স্বৈরতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র। শাসনের নামে চলছে দুঃশাসন। বিচারের নামে চলছে অবিচার! নির্বাচনের নামে চলছে প্রহসন! আঞ্চলিক পরাশক্তি চীন বলেছে ‘বিশ্বের কোনো দেশ গণতন্ত্রের একক নেতা হতে পারে না’। পলিটিক্স গ্রন্থে অ্যারিস্টটল যেমন লিখেছেন ‘সরকার তখনই ভালো সরকার, যখন তার লক্ষ্য হয় সমগ্র জনগোষ্ঠীর মঙ্গলসাধন’। আর এ বাণীটিই হচ্ছে ইসলামের মর্মবাণী, যা মানবতার মুক্তিদূত ও বিশ্বজগতের রহমত চৌদ্দশত বছর পূর্বে বলে গেছেন এবং নবীজি (সা.) ও খোলাফায়ে রাশেদিনগণ বাস্তবে প্রমাণ করে গেছেন। নবীজি (সা.) বলেন, ‘দ্বীন হলো কল্যাণ কামনা করার নাম। আমরা জিজ্ঞাসা করলাম কার জন্য? তিনি বললেন, আল্লাহর জন্য, তার কিতাবের জন্য, তার রাসূলের জন্য, মুসলিম শাসকদের জন্য এবং মুসলিম জনসাধারণের জন্য’ মুসলিম: ৫৫। নবীজির দেখানো ও শেখানো রাষ্ট্রপরিচালনার উন্নত ও শ্রেষ্ঠ পদ্ধতির নাম হচ্ছে খেলাফত পদ্ধতি। আর সেই খেলাফত পদ্ধতিতে তালেবান সরকার রাষ্ট্র পরিচালনার ঘোষণা দিয়েছে।
বিশ্বায়নের এ যুগে বিশ্বগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা অসম্ভব। এ বাস্তবতা তালেবান ও আন্তর্জাতিক মহলকে বুঝতে হবে। তালেবানের সামনে এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বৈশ্বিক সমর্থন আদায় এবং বিশ্বসম্প্রদায়ের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলা। দেশকে গৃহযুদ্ধের হাত থেকে রক্ষা করা। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা। সুশাসন, স্থিতিশীলতা ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনা। আমরা আশাবাদী, রাষ্ট্র পরিচালনায় তালেবান সরকার কাবুল বিজয়ের মতো বিশ্বে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দেশপ্রেম, এখলাছ ও ত্যাগের মহিমায় ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাবে, এটাই প্রার্থনাা, প্রত্যাশা ও কামনা।
লেখক: গ্রন্থকার ও গবেষক
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন