ভারতের এক নাগরিকের বিরুদ্ধে সাপের কামড় খাইয়ে গত বছরের মে মাসে স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। ২৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি কেরালার বাসিন্দা। আজ বুধবার তার শাস্তি ঘোষণা করবে কোল্লাম জেলার অতিরিক্ত সেশন আদালত। আদালত বলেছে, এটা বিরলের মধ্যে বিরলতম অপরাধ। উথারা নামের ওই নারীর মৃত্যুর পর স্বামী সুরাজ তার সব সম্পত্তি এবং টাকাপয়সা দখলে নিতে চাইলে তার বাবা-মা পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরে ক্রাইম ব্রাঞ্চ মামলাটির বিস্তারিত খতিয়ে দেখা শুরু করে। পুলিশ বলছে, উথারার অর্থ, স্বর্ণ নিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করতে চেয়েছিলো সুরাজ। দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় স্ত্রীকে হত্যা করতে সক্ষম হয় সুরাজ। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার একটি বিষধর সাপ প্রবেশ করিয়ে স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় সে। উভয় ক্ষেত্রেই এসব সাপ নিজের সাপুড়ে বন্ধুর কাছ থেকে সংগ্রহ করে সুরাজ। প্রথমবার সাপের কামড় খাওয়ার পর হাসপাতালে একমাস চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান উথারা। কিন্তু দ্বিতীয়বার গোখরা সাপের কামড়ে মারা যান তিনি। কেরালার ডিজিপি অনিল কান্ত আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, এটা বিরলতম একটা মামলা যেখানে অভিযুক্তকে পারিপার্শ্বিক প্রমাণে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘একটা মামলা বৈজ্ঞানিকভাবে এবং পেশাদারভাবে কিভাবে তদন্ত করা যায়, তার উজ্জ্বল উদাহরণ এটি।’ এনডিটিভি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন