শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

আগাম গাছ ঝুরতে ব্যস্ত গাছিরা

খেজুরের রস সংগ্রহের প্রস্তুতি

লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০২১, ১২:০২ এএম

প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল। কিছু দিন পরেই শুরু হবে হেমন্ত। শীতের আগমনী বার্র্তা নিয়ে শরতের মাঝে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম নাটোরের লালপুরে খেজুরের রস সংগ্রহের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আগাম গাছ ঝুরতে ব্যস্ত সময় পার করছে এই অঞ্চলের গাছিরা। যদিও এই মধুবৃক্ষের রস ও গুড় তৈরি হয়ে থাকে শীতকালে।
সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায় অনেক গাছিই খেজুরের গাছ ঝুড়ছেন কেউ বা আবার গাছ ঝুড়ার কাছ শেষ করে রস সংগ্রহের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সব মিলিয়ে দারুণ ব্যস্ত সময় পার করছেন এই অঞ্চলের গাছিরা। সোহান আলী ও সাইদুল ইসলাম নামের কয়েকজন গাছি বলেন, আমরা একটু আগামই খেজুর গাছ ঝুড়ছি। আগাম রস নামাতে পারলে বাজারে চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়া যাবে। গ্রাম-বাংলার সম্ভাবনাময় লাভজনক এই খাতে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা না থাকায় দিনে দিনে খাতটি বিলুপ্তির পথে।
স্থানীয়রা বলছেন, এই উপজেলায় মধৃবৃক্ষ খেজুরের গাছ একটি অন্যতম সম্পাদ। হেমন্তের প্রথমে উপজেলার বাজার গুলিতে উঠতে শুরু করবে সুস্বাদু খেজুরের পাটালি গুড়। মধুবৃক্ষ খেজুরের রস, গুড় ও পাটালি উৎপাদনে নাটোরের লালপুর উপজেলা প্রসিদ্ধ। এ অঞ্চলের খেজুর গুড়ের পাটালি রাজশাহী, ঢাকা, চাঁপাই, টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, খুলনা, দিনাজপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ হয়ে থাকে। অবহেলায় বেড়ে উঠা খেজুরের গাছের কদর এখন অনেক বেশি। সকাল থেকে শুরু হয় খেজুরের গাছ ঝুড়ার কাজ। কিছুদিন পরে এ সকল গাছ থেকে শুরু হবে রস সংগ্রহের পালা। গাছ ঝুড়া ও রস সংগ্রহকে ঘিরে এই জনপদের গ্রামীণ জীবনে শুরু হয়েছে কর্মচাঞ্চল্য। খেজুরের রস ও গুড় দিয়ে তৈরি করা হয় হরেক রকমের পিঠা-পুলি, ক্ষির ও পায়েস। তবে কিছু অসাধু মুনাফালোভী গুড় উৎপাদনকারীর কারণে উপজেলার এই ঐতিহ্য এখন ম্লান হতে চলেছে। বর্তমানে উপজেলার কয়েক হাজার পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খেজুর গাছের ওপর নির্ভরশীল। সরকারের সুদৃষ্টির মাধ্যমে এই খাতের উন্নয়নের আশা করেন স্থানীয়রা।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, এই উপজেলার অন্যতম সম্পদ খেজুর গাছ। এই মৌসুমে কয়েক হাজার পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস হিসেবে খেজুর গাছের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। কিছু অসাধু মুনাফালোভী গুড় উৎপাদনকারীর কারণে উপজেলার এই ঐতিহ্য এখন ম্লান হতে চলেছে। বর্তমানে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যাতে ভেজাল খেজুরের গুড় উৎপাদন করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানান তিনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন