মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

সারারাত না থাকায় খুন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৪১ এএম

এক হাজার টাকা চুক্তিতে যৌনকর্মীকে ভাড়া করার পর সারারাত না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে খুনের পর লাশ কার্টনভর্তি করে রাস্তায় ফেলে যায় এক যুবক। হত্যার পর নিহতের মুখ ঝলসে দেওয়া হয়েছিল। হত্যার পরের দিন (১০ অক্টোবর) মরদেহ উদ্ধারের পর তার পরিচয় শনাক্ত করে র্যাব। এরপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতারে নামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অভিযুক্তের নাম আব্দুল জব্বার (২৫)।

বুধবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন, গত ১০ অক্টোবর বিকেলে ভাটারা থানার ছোলমাইদ ঢালীবাড়ি এলাকায় নারীর মরদেহ পাওয়া যায়। তাৎক্ষণিক মরদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় প্রযুক্তির সহায়তায় পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।

এই ঘটনার পর ডিবি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ও অপরাধ সংশ্লিষ্ট এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা শুরু করে। পরবর্তীতে অপরাধীদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এরপরই মঙ্গলবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার জব্বারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি জানতে পেরেছে, জব্বার গাড়ির গ্যারেজের কর্মী। আর ওই নারী একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। মাঝে মধ্যে টাকার বিনিময়ে ওই নারী পরিচিতদের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতেন। ৮ অক্টোবর দুপুরে মোবাইলে কথা বলে জব্বারের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য সে বের হয়। তাকে নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্ক এবং ফুটপাতের ফুচকার দোকানে ঘোরাঘুরি করে জব্বার। সন্ধ্যার পরে সে তাকে তার ছোলমাইদ ঢালীবাড়ীর ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। এর আগেই নিজের স্ত্রী-সন্তানকে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে ওই নারীর সঙ্গে যৌনকর্ম শেষ করলে তিনি টাকা দাবি করেন এবং চলে যেতে চান। কিন্তু জব্বার ভিকটিমকে সারা রাতের জন্য রাখতে চায়। এটা শুনে ক্ষিপ্ত হন ওই নারী। হুমকি দেন তার (জব্বারের) সব কর্মকাণ্ড ফাঁস করে দেবেন এবং চিৎকার চেঁচামেচি করে। জব্বারের দাবি, সে নিজের আত্মসম্মান রক্ষার ভয়ে ওই নারীকে (শিপন আক্তার) ঘটনার দিন রাত ১০টার দিকে গলাটিপে হত্যা করে।

তিনি আরও বলেন, জব্বার ইয়াবা আসক্ত ছিল। খুনের পর ভিকটিমের মোবাইল একহাজার টাকায় বিক্রি করে সে তিনটি ইয়াবা কেনে। এসময় তার বন্ধু হীরাকে বাসায় আনে। তারা দুজন একসঙ্গে ইয়াবা সেবন করে এবং মরদেহ গুমের পরিকল্পনা করে। এসময় মরদেহটি প্রথমে একটি কার্টনের মধ্যে রেখে পরবর্তীতে ভাঙারির দোকান থেকে আনা বড় বস্তায় ভরে। পরে রাত তিনটার দিকে জব্বার ও হীরা লাশ মাথায় নিয়ে তিনতলা থেকে নামায়। পরবর্তীতে একশ টাকায় রিকশা ভাড়া করে লাশটি রাস্তায় ফেলে দেয়।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, অভিযুক্তের স্বীকারোক্তিতে চুরি হওয়া মোবাইল, ভিকটিমের ফেলে দেওয়া বোরকা এবং স্যান্ডেলসহ অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। জব্বার আদালতে ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
রুবি আক্তার ২১ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫২ এএম says : 0
হায় হায় বাংলাদেশের কি অধপতন শুরু হলো।
Total Reply(0)
তারেক আজিজ ২১ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫২ এএম says : 0
ওর কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
Total Reply(0)
সম্রাট রায় ২১ অক্টোবর, ২০২১, ৯:৫৩ এএম says : 0
দেশ আজ যেনা ব্যাভিচারে ভরে গেছে। কি গুরুতর অপরাধ। কঠিন শাস্তি দাবি করছি।
Total Reply(0)
মাজহারুল ইসলাম ২১ অক্টোবর, ২০২১, ১১:৪৬ এএম says : 0
দেশে কি অরাজকতা শুরু হলো। এদের কঠিন শাস্তি দিতে হবে।
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ২১ অক্টোবর, ২০২১, ৫:০৮ পিএম says : 0
বিচার বিলম্ব হয় এই জন্যি এই সব হয়ে থাকে,জরুরি বিচার সম্পূর্ণ হলে এই গুলি হবে না।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন